প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টা সচিবালয়ে আটকে রাখার পর শাহবাগ থানায় হস্তান্তর
সেলিম রেজা মঙ্গলবার দুপুর ০৩:৪২, ১৮ মে, ২০২১
প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টা সচিবালয়ে আটকে রাখার পর শাহবাগ থানায় হস্তান্তরের ঘটনায় আমরা সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত”! এ হয়রানি দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য বিভাগের আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।
প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে – পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় সচিবালয়ে আটকে রেখে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে।
রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাকে সেখানে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং তার মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রোজিনাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছুই জানাননি।
রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ সচিবালয় থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাকে বেশ অসুস্থ দেখাচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকেরা জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথির ছবি তোলার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে থানায় আনা হয়েছে।
তথ্য কর্মকর্তার অভিযোগ যদি বিবেচনায় নেয়াও হয়, তার পরও প্রশ্ন ওঠে কথিত নথির ছবি তোলার জন্য একজন সিনিয়র নারী সাংবাদিককে এভাবে জঘন্য কায়দায় হেনস্তা করা যায়? এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর ধারাবাহিক আঘাতেরই অংশ বলে আমরা মনে করি।
অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্তে সসম্মানে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।