শরিয়তপুরের একজন আমিনুল ইসলাম রতন
মীর ইমরান মঙ্গলবার ১২:২০, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
শরিয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান আমাদের একজন আমিনুল ইসলাম রতন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন যোগ্য- দক্ষ হাজারো নেতা রয়েছেন বাংলাদেশে। যারা দলের চরম দুঃসময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিটা মাঠে থেকে করেছেন ।
১৯৯০–১৯৯৯ পর্যন্ত যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলো ছাত্রলীগ সভাপতি বর্তমান পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। বর্তমান শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি-ইকবাল হোসেন অপু।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম রতন, তমিজউদ্দিন তমি, বঙ্গবন্ধু হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফরুল বাবু, কামরুজ্জামান হোসেন, ঢাকা কলেজের সাবেক নেতা জসীমউদ্দিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, জাকির হোসেন মারুফ, মোস্তফা হুমায়ুন হিমু, শহীদুল্লাহ হলের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, দেব দুলাল, এ্যাডভোকেট মাহবুব সুরুজ, বাবুল তালুকদার, মনির হোসেন তপন মোল্লা, ছোট শামিম,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পার্থ প্রতিম আচার্য;–যাদের মধ্যে অনেকেই ঐ সময়ে ছাত্রদলের নির্যাতনে মারা গেছে। আবার কেউ ব্যাবসা বাণিজ্য নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
ঐ সময় প্রতিদিনের আলোচনায় বিএনপি ও ছাত্রদলের চরম নির্যাতিত এবং একাধিকবার কারাবরণকারি নেতা ছিলেন তিনি, যাকে ছাড়াতে পুলিশের হাত থেকে ছাত্রলীগ কর্মিরা তাকে কেড়ে নিতো এমন একজনই নেতা ছিলো।
যে ২০০৭ সালে ১-১১ এর সময়ে তার নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রাম যাতে না হয় সেজন্য লিষ্টেট কর্মীদের মধ্যে তালিকা করে, যাদের গুম খুন করা হয়। তাদের মধ্যে বেচে থাকা নেতা আমিনুল ইসলাম রতন।
মাসের পর মাস নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়ে ছিলো,যাকে না পেয়ে তার পরিবারেরসহ আত্মীয়স্বজনদের গ্রেপ্তার করে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এমনি এক নেতা যাকে আজ সবাই ভুলে যেতে বসেছে, সে শরীয়তপুরের আমিনুল ইসলাম রতন।
কে আমিনুল ইসলাম রতন আজ সম্পর্কেই কিছু জানা-অজানা তথ্য–
রাজনৈতিক-বৃত্তান্তঃ
যুগ্ম-আহ্বায়ক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাজিরা উপজেলা শাখা, ১৯৮৮ইং।
সভাপতি: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাজিরা ডিগ্রি কলেজ শাখা, ১৯৮৯ইং।
যুগ্ম-সাধারন-সম্পাদক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,শরীয়তপুর জেলা শাখা, ১৯৯১ইং।
জাতীয়-পরিষদ-সদস্য: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(ম-ই) ১৯৯৪ইং।
সদস্য: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কার্যকরী সংসদ(শামীম-পান্না) ১৯৯৫ইং
তথ্য-গবেষনা-সম্পাদক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কার্যকরী সংসদ(বাহাদুর-অজয়) ১৯৯৮ইং।
সহ-সম্পাদক: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি ২০১৩ইং।
সাংগঠনিক-সম্পাদক: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, শরীয়তপুর জেলা শাখা(২০১৭-২০২১)।
এমন প্রদীপ্ত সূর্যের মতো জ্বল-জ্বলে রাজনৈতিক ইতিহাস/ঐতিহ্য যার। সেই রাজপথের সাহসী সৈনিক শরিয়তপুরের এস এম আমিনুল ইসলাম রতন।
শরীয়তপুরের জাজিরার রাজনীতিতে তার পরিবারের ভুমিকা ব্যাপক, তার পিতা মরহুম চেরাগ আলি সরদার দুবারের চেয়ারম্যান ছিলেন, তার বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম সরদার দীর্ঘ ২৭ বছর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
এলাকার রাজনীতিতে তার ভুমিকা ব্যাপক,জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ নেতা আজ কালের বিবর্তনে, রাজনৈতিক রেসানলে পরে এখন কিছুটা ক্লান্ত।
এলাকার প্রবীন নেতারা বলেন; আমিনুল ইসলাম রতনের আরো আগেই দলীয় বড় পদ বা এমপি হওয়ার কথা ছিলো। তার ভাগ্যের দোষে তিনি আজও কিছু হতে পারেননি। এলাকাবাসীরা আরো বলেন; প্রবল একরোখা ও ব্যক্তিত্য সম্পন্ন একটি ছেলে আমিনুল ইসলাম রতন।
আমরা চাই আগামীতে সে জিম্মিদশায় বের হয়ে আমাদের শরিয়তপুরের বড় একজন নেতা হোক। এবারে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভিত গড়তে বর্তমানে তিনি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার কর্মীদের নিরাশ করেন না। কারন মা তার সন্তানদের প্রতি যথেষ্ট মানবীয়।