৬ দফা দাবি জানিয়ে আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দলের মানববন্ধন অনুষ্টিত
আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মো: আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী সোমবার দুপুর ০১:৫০, ১৬ নভেম্বর, ২০২০
পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনেই সব সঙ্কট ও রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব, * মাস্ক পড়লে নামাজ হবেনা- মসজিদে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা যাবেনা, * করোনাকে ছোঁয়াচে বলে জামাতী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা যাবেনা, * উগ্র সাম্পদ্রায়িক মিথ্যাবাদী সংগঠন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নিষিদ্ধ করা,
* মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের অবমাননাকারী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত উগ্রবাদী মৌলবাদী হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহী আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীসহ ৬ দফা দাবীতে আজ সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের মানববন্ধন হয়েছে।
আজ (১৬ নভেম্বর ২০, রোজ সোমবার) ৬ দফা দাবী জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দল। মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবীসমূহ:
১. পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনেই সব ধরণের কঠিন রোগ, বালা-মুসিবত, দুর্যোগ কেটে যাবে। কাজেই বর্তমান স্বাস্থ্য সংকট, অর্থসংকটসহ সব সংকট থেকে মুক্তি দিতে সরকারকে সর্বোচ্চ পৃষ্টপোষকতায় সারা বছর তথা অনন্তকাল পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে।
২. জামাত ও ধর্মব্যবসায়ী মালানারা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে করোনাকেও ছোঁয়াচে রোগ ও মহামারী প্রচার করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জটিল করে তাদের ধর্মব্যবসাভিত্তিক রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। করোনাকে যারা ছোঁয়াচে ও মহামারী বলে তাদের প্রতি ওলামা লীগের কোটি টাকার প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ।
৩. করোনা ভাইরাস দেয়ার এবং তা থেকে রক্ষার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি। সম্মানিত মসজিদে গেলে মাস্ক পড়তে হবে- এ প্রচারণার অর্থ সম্মানিত মসজিদে গেলে করোনা হয়। অথচ সম্মানিত মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর তথা রহমতের ঘর। কাজেই সম্মানিত মসজিদের সম্মান রক্ষার্থে মসজিদে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা যাবেনা।
৪. নামাযের মধ্যে মুখমন্ডল খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। নামাযের মধ্যে চেহারা ঢেকে রাখলে নামায মাকরুহ হয়। আর নামাযে মাকরুহ তাহরীমি হলে নামায দোহরায়ে পড়া ওয়াজিব। কাজেই মাস্ক পড়লে বা মুখমন্ডল ঢাকলে নামায হবে না। কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবেনা- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় শরীয়তবিরোধী কাজ মাস্ক পড়ার নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ একটা চরম উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এই সংগঠনে তারা মুসলমানদের সাথে না রেখে মুসলমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে চরম সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ঢেলে চলছে এবং চরম মিথ্যা অসত্য, ভিত্তিহীন, মনগড়া তথ্য দিয়ে দেশের মুসলমান ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সারাবিশ্বে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। কাজেই অবিলম্বে হিজবুত তাহরীরের মতো এ সংগঠন নিষিদ্ধ এবং এদের উগ্রবাদী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ উগ্রবাদী, মৌলবাদী হিন্দুরা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান সরকারকে অবমাননা করেছে। তারা বলেছে যে, বর্তমানে যে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে তা ৭১ সালকেও হার মানাচ্ছে। অর্থাৎ তারা ৭১ সালে হিন্দু নির্যাতনকে ছোট আকারে প্রমান করছে এবং বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অর্জনকে ক্ষুদ্র করে দেখাচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহী আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
* মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এদেশের সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, রাষ্ট্রদ্বীন হলো পবিত্র দ্বীন ইসলাম। আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল বিশ্বাস হলো, যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত বর্ষিত হয় তখন সব সঙ্কট, রোগ-ব্যাধী দুর হয়ে যায়। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার শানে প্রতি মুহুর্তে পবিত্র ছলাত শরীফ, পবিত্র সালাম শরীফ পালন করছেন। কাজেই উনার তাশরীফের প্রতি সম্মান ও খুশি প্রদর্শন করে সর্বোচ্চ আয়োজনে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ বা পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করলে ব্যক্তি, সমাজজীবনে এবং রাষ্ট্রীয় খাতে অভূতপূর্ব রহমত নাযিল হবে এবং রোগ শোকসহ সব ধরণের সঙ্কট কেটে যাবে।
* সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদের দলীল-আদিল্লাহর মাধ্যমেই প্রমাণিত যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে তথা সম্মানিত শরীয়তে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকী এর অন্তর্ভুক্ত। বক্তারা বলেন, বিএনপি জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিজির আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত জামাতী মালানা, মুনাফেক কওমী মালানা এবং ধর্মব্যবসায়ী মালানারা করোনাকে ছোঁয়াচে ও মহামারী বলে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে এবং সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করার জন্য জামাতী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা বন্ধ করা, ফাঁক ফাঁক করে নামাজে দাড়ানো, ৫ জনের বেশি মুছল্লী না হওয়া, মাঠে ঈদের জামায়াত করতে না দেয়া ওহাবী-জামাতপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক ফতওয়া; যা সম্পূর্ণ কুফরী হয়েছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে সরকারের প্রতি যারপর নাই ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এটা জামাতী ওহাবীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
* সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ততবারই নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে যতবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন হবেনা। অথচ বর্তমান ধর্ম মন্ত্রণালয় সুস্পষ্টভাবে এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)। কারণ কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ ইজমা ক্বিয়াস এবং সমূহ তাফসীর ও ফিক্বাহর কিতাব অনুযায়ী নামাজের মধ্যে পুরুষের তো অবশ্যই এমনকি মহিলাদেরও মুখমন্ডল খোলা রাখতে হয়। অথচ মাস্ক পড়লে মুখমন্ডল ঢেকে যায়। তাতে নামাজ আদায় হয়না। অথচ গত ৬ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি সকালে উঠে সবার আগে নামায পড়ার জন্য জায়নামায খুজেন। কিন্তু ধর্মমন্ত্রণালয়ের এ আদেশের কারণে দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের নামায নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাজেই মাস্ক পড়ার ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এ কুফরী নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। বক্তারা বলেন, মসজিদে মাস্ক পড়ে যেতে হবে এ কথার অর্থ হলো মসজিদে গেলে করোনা হয়। মসজিদে গেলে মাস্ক পড়ে যেতে হবে একথা দ্বারা মুসল্লীদের মনে মসজিদ সম্পর্কে করোনা আতঙ্ক তৈরী করে দেয়া হয়। অথচ মসজিদ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর। যেখানে অবারিত রহমত নাযিল হয়। তাই মসজিদে গেলে উল্টো করোনা সেরে যায়। সারা বিশ্বে ঢাকা মসজিদের শহর হিসেবে সুবিখ্যাত। কাজেই মসজিদ সম্পর্কে মিথ্যা আতঙ্ক তৈরী করা যাবেনা। মসজিদে প্রবেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা যাবেনা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অধর্ম তথা অনৈসলামিক ফতোয়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
* সমাবেশে বক্তারা বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ তাদের মতাদর্শের ভিত্তিতেই একটা চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন। তারা মুসলমান সম্প্রদায়কে তাদের সাথে রাখেনি। মুসলমানদের থেকে দুরে থেকে দেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান ও দেশের সরকারের বিরুদ্ধে তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। তারা তাদের প্রতিমা ভাংচুর, হিন্দুদের হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শ্লীলতাহানী, মন্দির দখল, জোর করে মুসলমান বানানো ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের এজেন্টরা অপপ্রচার সারা বিশ্বে ছড়াচ্ছে। হিন্দুদের জামাই আদরে রাখছে সরকার কিন্তু তারা সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। কাজেই হিজযুত তাহরীরের মত অবিলম্বে উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
* সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৬ই নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার সময়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানী, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ৭১ এর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার শামিল।
* সমাবেশে বক্তারা বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এ বক্তব্য দ্বারা ৭১ এর মহান যুদ্ধে পাকিস্তানীদের বর্বরতাকে ছোটো করে দেখিয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধেকে খাটো করে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করেছে। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে হানাদার পাকিস্তানিদের চেয়ে নিকৃষ্ট করে প্রচার করে সারাবিশ্বে এদেশের জনগন ও সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। কাজেই অবিলম্বে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মওলামা লীগের সভাপতি- পীরজাদা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল)। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, কার্যকরী সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সবুর মিয়া (রানীপুরা) সহ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ ওমর ফারুক গোপালগঞ্জী, হাফেজ ক্বারী মুহম্মদ শাহ আলম ফরাজী, হাফেজ মুহম্মদ আব্দুল বারী, কারী মাওলানা মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আল কাদেরী, আলহাজ মুহম্মদ খোরশেদ আলম রেজভী, কাজী অধ্যাপক মাওলানা মুহম্মদ নোমান চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আল আমীন, মাওলানা মুফতী মুহম্মদ আব্দুল গফুর, হাফিজ মাওলানা খালিদ হাসান, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম সিদ্দীকি আল কুরাইশি, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ মুজিবুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা মুহম্মদ মোকাম্মেল হুসাইন চৌধুরী, ক্বারী মুহম্মদ মনিরুজ্জামান, মুহম্মদ গরীব মাহবুব প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার। মিছিল শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধু রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রূহের মাগফিরাত কামনা করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।