সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) বুধবার সন্ধ্যা ০৭:৫৬, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া গ্রাম থেকে হুগুলিয়া ঘাট পর্যন্ত সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় ১০/১২দিন আগে থেকে। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী ।
এলাকাবাসী এ নিয়ে আপত্তি তোলেন। কিন্তু কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকাবাসিকে কোন ধরনের গুরুত্ব না দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।এরি প্রতিবাদে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে আবার কেউ সহযোগিতা চেয়েছেন সাংবাদিকদের। চলমান কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরতে এলাকার সচেতন যুবক মহল ব্যবহার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে,ছবি পোস্ট করে সাংবাদিক ও প্রশাসনের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন তাঁরা।
এ সময় এলাকাবাসীর প্রতিবাদের কিছু সময় কাজ বন্ধ থাকে।এলাকার লোকজন চলে গেলে আবারও শুরু হয় কাজ। গত মঙ্গলবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া গ্রামের সামনে থেকে হুগুলিয়া ঘাট পর্যন্ত সড়ক মেরামত ও কাজের দরবাগিয়া কান্দা ও লালন বাড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় এমনটি ঘটে।
এলজিইডির অধীনে হাওরাঞ্চলে বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ধর্মপাশার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া গ্রামের সামনে থেকে হুগুলিয়া ঘাট পর্যন্ত সড়ক মেরামত কাজের জন্য সাত কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ কাজের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয় নেত্রকোনার অসিম সিং প্রীতম এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ১০/১২ দিন আগে থেকে সড়ক মেরামত কাজ শুরু করেন ঠিকাদার।
এলাকাবাসির অভিযোগ,এ কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের মাটি মিশ্রিত বালু, পাথর ও পরিমাণে কম সিমেন্ট ব্যবহার করছে ঠিকাদারের লোকজন। গত মঙ্গলবার রাজাপুর গ্রামের প্রায় ১৫/২০জন যুবকসহ এলাকার লোকজন এ কাজ দেখতে যান। এ সময় কাজে অনিয়ম হচ্ছে দেখে তারা প্রতিবাদ করেন। এতে কাজ না হলে তারা তাদের ফেইসবুকে ছবি সহ আপলোড করেন।
রাজাপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আবুল খায়ের,জুবায়ের আহমেদ,সাইদুল ইসলাম সাজুল,বখতিয়ার আমিন অপু তারা বলেন,মাটি মিশ্রিত বালু,পাথর ও পরিমাণে কম সিমেন্ট ব্যবহার করছে ঠিকাদারের লোকজন,এভাবে যদি সমস্ত কাজ সমপন্ন করে তাহলে এই সড়ক বেশি দিন টিকবে না, কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে ভালোভাবে কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
চলমান কাজের একজন নির্মাণ শ্রমিকের কাছে এ কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ব্লক বানানোর জন্য যে বালু পাথর ও সিমেন্ট এর মসল্লা (নির্মাণ উপকরণ) ব্যবহার করছেন তার মধ্যে ১০/১২ বস্তা বালি ১৬ বস্তা পাথর ও এক বস্তা সিমেন্ট দ্বারা তৈরিকৃত মসল্লা (নির্মাণ উপকরণ ) ব্লকের কাজে ব্যবহার হচ্ছে।
ঠিকাদার গোলাম এরশাদুর রহমান বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী ও যেখানে যা দরকার তা সঠিক ভাবেই ব্যবহার করছি।
এ কাজের তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, এখনও ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়নি। (সড়কের দুই পাশে ব্যবহারের জন্য) ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে।সেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।যদি কোন অনিয়ম হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।