শ্রদ্ধাভরে এমপি লিটনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
তারিক আল মুরশিদ,গাইবান্ধা বৃহস্পতিবার রাত ০৯:৫১, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০
হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এমপি লিটনের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজস্ব বাসভবনে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরানখানি, দোয়া মাহফিল ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মরণ সভা। প্রয়াত এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও পুত্র সাকিব সাদনান রাতিনের পক্ষ থেকে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বাসভবন চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. সুলতান আলী মন্ডলের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হবি, সাজেদুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, ডা: শফিউল আলম, হবিবর রহমান, একে হাবিব সরকার, নাসরিন সুলতানা, গোলাম কবির মুরাদ, মিজানুর রহমান মিজান, শেখ শাহীন, তুহিন প্রামানিক, গোলাম কবির মুকুল, প্রয়াত এমপি লিটনের সহধর্মিণী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি প্রমুখ। বক্তারা প্রয়াত লিটনের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়া বক্তারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং দোষী সাব্যস্থ হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এর আগে উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে এমপি লিটনের কবরে পুষ্প সত্মবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার সাহাবাজ মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১(সুন্দরগঞ্জ) আসনের তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র ও অপরটি হত্যা মামলা। ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাতজন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খান, তার ভাতিজা মেহেদি, পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আব্দুল হান্নান, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। এছাড়াও অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি অবঃ কর্ণেল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত।