ঢাকা (সকাল ১১:২৪) শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


লোহাগড়ায় পিআইও’র বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দুর্নীতি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock মঙ্গলবার রাত ০২:০৪, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এসকে,এমডি ইকবাল হাসান, নড়াইল প্রতিনিধীঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এস.এম.এ করিমের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী আচরন বিধিমালা এবং সরকারি কর্মচারী শৃংখলা ও আপীল বিধি ভেঙ্গে অভিযোগে প্রতিবাদসভা করেছে সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পিআইও”র বদলি সহ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

পিআইও এস.এম.এ করিমসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লোহাগড়া উপজেলা সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম.এ করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি কর্মচারী আচরন বিধিমালা এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ইউএনও অফিসের সুপার ও লোহাগড়া উপজেলা সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মোঃ আইনুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ডিসি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মুরর্শিদুল আলম মোরাদ, জেলা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মোঃ কামরুল গাজী, সাধারণ সম্পাদক তারিক হাসান, উপদেষ্টা মোঃ রেজাউল ইসলাম, ইউএনও”র অফিস সহকারি মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই দপ্তরের অফিস সহকারী মো. জিয়াউর রহমান। তার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পিআইও করিম প্রতিনিয়ত নিজ দপ্তরের অফিস সহকারীকে দিয়ে অফিসের কাজের বাইরেও ব্যক্তিগত কাজ করাতে বাধ্য করেন। নানা অযুহাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথায় কথায় অশালীন ভাষায় গালাগালি করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস না করায় জরুরী অনেক কাজ পেন্ডিং পড়ে আছে। আর যে সব কাজে করে অনৈতিক সুবিধা পান সেইসব কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। জিয়াউর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা সরকারি কর্মচারী সমš^য় পরিষদ এক জরুরী সভার আয়োজন করে। সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা করিমকে শাস্তিমূলক বদলীর দাবি জানান উপস্থিত সদস্যরা। পিআইও করিমের বিরুদ্ধে অনৈতিক আচারণসহ কাজ না করে টিআর কাবিখা ও ৪০ দিনের কর্মসৃজনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম.এ করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়। এটা একটা সিন্ডিকেট। বিষয়টি আমি ডিজি মহদয়কে অবহিত করবো। কেনো ওরা আমাকে পছন্দ করছে না ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। সভায় বক্তারা পিআইও”র অপসারণ দাবি করেন।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT