লোহাগড়ায় গ্রামের ঐতিহ্য তুলে ধরতে পাঁচদিন ব্যাপী গ্রামীণ মেলা

ইকবাল হাসান
শুক্রবার রাত ১১:১৯, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
এলাকার উন্নয়নে যিনি সবসময় কাজ করেন, মানুষের সেবা করেন, দরীদ্র-অসহায় মানুষ যাকে ভরসার প্রতিক ভাবেন তিনিই হলেন নড়াইলের সফল উদ্যোক্তা ও সফল ব্যবসায়ী তরুণ সমাজসেবক শিল্পপতি স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ।
গত সরকারের শাসনামলে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধনকালে বা সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ছিলেন আমি কোন দিন রাজনীতি বা নির্বাচন করবো না। তিনি এখনো একই কথা বলছেন কখনো রাজনীতি বা নির্বাচন করবো না। তবে এলাকার উন্নয়নে, মানুষের সেবায় কাজ করবো। অথচ সেই সফল মানুষকে নিয়েই দুষ্টু চক্রের চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার। দুষ্টু চক্র তাকে নানাভাবে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের উলা গ্রামের সমাজসেবক খোকন চৌধুরীর সন্তান। নিজ গ্রাম বা প্রতিবেশী গ্রামসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টি নন্দন ” চৌধুরী বাংলো”। যা এলাকায় মিনি পার্ক নামে ক্ষ্যাত। সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত এই মিনি পার্ক। গ্রামের সহজসরল মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের দূর্ভোগ নিরসনে ব্যক্তিগত অর্থায়নে স্কুল ও গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাঁকাকরণ করছেন তরুণ শিল্পপতি ও সমাজসেবক স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ মহৎ কাজ করায় এলাকার মানুষ ও শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি হলেও হিংসায় জ্বলেছেন দুষ্টু চক্র শ্রেণীর মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ তরুণ বয়সেই ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। সঠিক পরিকল্পনা, মেধা ও শ্রম এক সাথে কাজে লাগিয়ে তিনি আজ একজন সফল ব্যবসায়ি ও শিল্পপতি। দেশের অন্যতম পোষাক ব্র্যান্ড ব্লু- ড্রীম গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। ব্লু-ড্রীম গ্রুপ সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে অনেকটা সময় দেশের বাহিরে থাকলেও স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে বিশুদ্ধ পানি, খাবার সরবরাহ করেছেন। দিয়েছেন অর্থ।
লোহাগড়া উপজেলার নির্বাচিত জয়িতা ও লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রাজিয়া সুলতানা বিউটি বলেন, উলা গ্রামটিতে সহজ-সরল মানুষের বসবাস। বেশিরভাগই কৃষিজীবি। তরুণ প্রজন্ম মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে সেটা অনুধাবন করেছেন শিল্পপতি স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ। তাই গ্রামের মাঝেই নিজ জমিতে গড়ে তুলেছেন চৌধুরী মাঠ। যেখানে ফুটবল, ক্রিকেট সহ গ্রামীণ খেলাধুলা ও গ্রাম্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যেখানে শিশুসহ আবাল-বৃদ্ধ -বনিতা স্বাচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন।
দিঘলিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান গেট থেকে মূল ভবন পর্যন্ত প্রায় ১২০ ফুট লম্বা রাস্তায় ইটেরসলিং বেছানো ছিলো। বর্ষায় ওই রাস্তায় কাঁদা-পানি জমতো। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চলাচলে সমস্যা হতো। বিদ্যালের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ নিজ অর্থায়নে সেই রাস্তাটুকু পাঁকাকরণ করেছেন। রাস্তার দু পার্শ্বে ফুল বাগান করছেন। তার এ মহৎ উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষার্থীরা বললেন, সোহাগ ভাই আমাদের স্কুলের রাস্তা পাঁকা করে দেয়ায় উপকৃত হচ্ছি। তিনি ভালো মনের মানুষ। মানুষের সেবা করেন বিনা স্বার্থে।
উলা গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, একশত বছরের পুরানো কাঁচা সড়কে ইটের সলিং করা হয়েছে। রাস্তাটি উলা দক্ষিণ পাড়া মসজিদের সামনে থেকে নোয়াগ্রাম মোড় পর্যন্ত। অন্তত পাশ্ববর্তী দশ গ্রামের মানুষ সহজে ও অল্প খরচে লোহাগড়া সদরে, দিঘলিয়া বাজারে, এড়েন্দা বাজারে, মহাজন বাজারে যেতে পারবেন। গ্রামের মানুষরা বেজায় খুশি। তারা বললেন, ব্যক্তিগত টাকায় স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।
ব্লু-ড্রীম গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করবো না। মানুষের সেবা করতে পারলে মনে তৃপ্তি পাই। আমি ব্যবসায়ী মানুষ। মানুষ সেবার মাঝে কোন ব্যবসা থাকতে পারে না। আমি উন্নয়ন কাজ করবো সবসময়। মহান আল্লাহ আমাকে মানুষের সেবা করবার সুযোগ ও সামর্থ দিয়েছেন । এলাকার উন্নয়ন হোক। আগামী ৩ জানুয়ারি উলা গ্রামের চৌধুরী বাংলো পার্শ্ববর্তী চৌধুরী মাঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজানৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে ৩ হাজার কম্বল ও ১ হাজার লুঙ্গি বিতরণ করবো। অনুষ্ঠিত হবে ৫ দিন ব্যাপি গ্রামীণ মেলা। গ্রামের ঐতিহ্য তুলে ধরবো এ মেলায়। থাকবে গ্রামীণ খেলাাধুলা।