ঢাকা (সকাল ৬:৫১) শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ ইং

বিরল প্রজাতির মোরগের সন্ধান মিলল চাঁপাইনবাবগঞ্জে

৪ পা বিশিষ্ঠ বিরল প্রজাতির মোরগ
৪ পা বিশিষ্ঠ বিরল প্রজাতির মোরগ



চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি মোরগের দাম ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হলেও এমন মোরগের সন্ধান মিলেছে জেলার নাচোল উপজেলার গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কে। এর বিশেষত্ব হচ্ছে মোরগটির রয়েছে ৪টি পা। আর তাই আশপাশ গ্রামের মানুষ মোরগটি এক নজর দেখার জন্য ওই পার্কে ভিড় জমাচ্ছেন।

জানা গেছে, নাচোল উপজেলার পৌর এলাকার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। তিনি মেশিনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর ব্যবসা করেন। প্রায় ১০ মাস আগে একই গ্রামের এক ব্যক্তি শফিকুল ইসলামকে বেশ কিছু দেশি মুরগির ডিম দেন বাচ্চা ফোটানোর জন্য। তবে সব ডিমেই বাচ্চা ফোটার পর দেখা যায় একটি বাচ্চার ৪টি পা রয়েছে।

বিষয়টি ডিমের মালিক দেখতে পেয়ে সব বাচ্চা নিয়ে গেলেও ওই বাচ্চা রেখে যান শফিকুলের কাছে। তার বাড়িতেই বড় হতে থাকে বাচ্চাটি। তবে একটু বড় হবার পর বোঝা যায়, চার পায়ের বাচ্চাটি মুরগি নয়, মোরগ। চার পায়ের ওই মোরগের খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে। আর সেই মোরগটি তিনশ টাকা দিয়ে শফিকুলের কাছ থেকে ক্রয় করেন নাচোলের গ্রিনল্যান্ড শিশু পার্কের মালিক মুকুল মাস্টার।এরপর থেকে সেখানেই রয়েছে মোরগটি।

মোরগটির বর্তমান ওজন প্রায় দুই কেজি। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ এখন এই চার পায়ের মোরগ। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন শুধু মোরগটি দেখার জন্য। আবার কেউ কেউ মোরগটি কিনে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, মোরগটির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৫০ হাজার টাকা।

রবিবার (১ জানুয়ারী) সকালে নাচোলের গ্রিনল্যান্ড পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বিনোদনের জন্য বেশ কিছু রাইড ও পশুপাখি থাকলেও অনেকেই চার পায়ের মোরগটি দেখতে ব্যস্ত। কেউ কেউ ছবি ও সেলফি তুলছেন।

পার্কে ঘুরতে আসা নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বাসিন্দা শামীম ও ফাহিমা বলেন, চার পায়ের মোরগটির কথা শুনে আমরা সেটি দেখতে এসেছি। মোরগটি দেখতে অদ্ভুত লেগেছে। মোরগটির রঙও খুব সুন্দর। দেখে ভালোই লাগল।

এ বিষয়ে পার্কের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, পার্কে মোরগটি নিয়ে আসার পর থেকেই দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে পড়েছে ৪ পায়ের মোড়গ। মোরগটি দেখার জন্যই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছেন। শিশুরাও মোরগটি দেখে আনন্দ পাচ্ছে। এক কেজি ওজন হওয়ার পর থেকেই এটি কিনে নেয়ার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দাম উঠেছে মোরগটির। তবে আপাতত বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই। এখন মোরগটির ওজন ২ কেজি।

তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান চার পায়ের মোরগ বেঁচে থাকার বিষয়টি একটি বিরল ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এখনো মোরগটি আমাদের দেখতে যাওয়া হয়নি। খুব শিগ্রই জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের একটি টিম নাচোলের গ্রীণল্যান্ড শিশু পার্কে যাবে এবং এ বিষয়ে যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT