ঢাকা (বিকাল ৩:২৯) শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

দুঃখ-দুর্দশা কমেনি নদীকূলের বানভাসি মানুষের



সাজাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ছয় দিন ধরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীকূল এলাকায় বানভাসি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কমেনি। শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী প্রায় ৫০ হজার মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণ তৎপরতা চোখে পড়েনি। চলতি বন্যায় উপজেলায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছে শতশত পরিবার।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বুধবার ধরলার পানি কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার এবং বহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, ভাঙন দেখা দিয়েছে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়ার ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধ ও থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা,পাকার মাথা ও চর গোড়াই পিয়ার এলাকা।

হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আবুল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের তিন হাজার পরিবার প্রায় পাঁচ দিন ধরে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। সাত শতাধিক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বাঁধের রাস্তায়।

তিনি আরও জানান, সোমবার উপজেলা পরিষদে সভা করে হাতিয়া ইউনিয়নে ৩’শ৫০ প্যাকেট ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়। তা  হাতেও পেয়েছি  বুধবার(০১ জুলাই)  বিতরণ করা হবে। প্রতি প্যাকেটে রয়েছে ২০ কেজি চাল এবং এক কেজি করে তেল, ডাল, লবণ ও চিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে ১৪৫ হেক্টর জমির বীজতলা, ৩৫ হেক্টর জমির আউস ধান, ৩১০ হেক্টর জমির পাটক্ষেতসহ ৭৫ হেক্টর মৌসুমি সবজির ক্ষেত পানিতে ভাসছে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT