চুরির অপরাধে দুই সহোদরকে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা!
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার বৃহস্পতিবার দুপুর ০২:২৬, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
ঘটনাটি মর্মান্তিক। আপন দুই ভাই চুরি করতে গিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে ধৃত হওয়ার পর উত্তেজিত জনতা এদেরকে পিটিয়ে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করলো! এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে চাপাইনবয়াবগঞ্জের ভোলহাট থানায়।
নিহতরা হলেন- ভোলাহাট উাপজেলার দুর্গাপুরের হাবিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫) ও ইয়াকুব আলী (২২)।
কী নির্মমতা! কী মর্মান্তিক! আমি জানি না মানুষ আবার কবে মানুষ হবে। মানুষের নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে এটাই শ্বাশত সত্য।” মানুষ হতে পশু ভালো ” এমন কথা মাতাল কবিখ্যাত বাউল রাজ্জাক দেওয়ানের গানের অংশ।আদতে দেখছিও তাই।
আইনের ভাষায় এসব হত্যাকান্ডকে “মব জাস্টিস” বলে। এই ধরনের জঘন্যতা পরিহার করতে হবে। চুরি করলে অপরাধের দায়ে শাস্তি আছে। দেশের প্রচলিত আইননুসারে বিচার হবে। কিন্তু কেনো এমন নিষ্ঠুর হয়ে আইন হাতে তুলছেন জনতা?
শরিয়াভিত্তিক চুরির অপরাধকে বিচারের রায় দেওয়া হয়েছে, হাত কেটে দেওয়া—তবে যদি স্বভাবজাত চোর হয়। ইসলামে চুরির শাস্তি হিসেবে কোরআনে বর্ণিত আছে, “চোর নারী হোক বা পুরুষ, তার ডান হাত কেটে দাও” (সূরা আল-মায়িদা ৫:৩৮ )।
আর যদি অভাবী চোর হয় তাহলে এই দায় শাসকের কাঁধে পড়ে মানে এ বেলায় শাস্তির বিধান শরিয়া নিরুৎসাহিত করেছে।
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার
কবি ও সাংবাদিক