ঢাকা (রাত ৩:৩৫) শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

তারেক রহমান: স্বাধীনতার মশাল হাতে আগামীর বাংলাদেশের আলোর দিশারী

মুক্ত কলাম ২১৪১ বার পঠিত

মেঘনা নিউজ ডেস্ক মেঘনা নিউজ ডেস্ক Clock বুধবার রাত ১১:১০, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

২০০১ থেকে ২০০৬—এই পাঁচ বছর ছিল বিএনপির তৃণমূল পুনর্জাগরণের সোনালি অধ্যায়। আজকের বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তখন ঘুরে বেড়িয়েছেন গ্রামের মেঠোপথ থেকে শহরের জনপদে, সুসংগঠিত করেছেন তরুণদের, জাগিয়েছেন জাতীয়তাবাদের অগ্নিশিখা। যুব সমাজকে শক্তি ও সাহস দিয়েছেন।যারা দেশের জন্য স্বপ্ন দেখতে শিখেছে তাঁর হাত ধরেই।

 

কিন্তু ২০০৭ সালে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে এক কালবৈশাখী ঝড় বইল। দেশপ্রেমিক এই নেতাকে রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করার জন্য সাজানো হলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা। গ্রেফতারের পর নির্যাতনের নির্মম অধ্যায় তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি—বরং তাঁর সংকল্পকে করে তুলেছিল হিমালয়ের মতো দৃঢ়।

 

২০১৮ সালে, দেশনেত্রী সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি রায়ে কারাগারে পাঠিয়ে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করার চেষ্টা করা হয়। ঠিক তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। তিনি বুঝেছিলেন—দলকে বাঁচাতে হলে তৃণমূল থেকে অঙ্গসংগঠন পর্যন্ত নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি আবার দাঁড়ায় ইস্পাতসম শক্ত ভিত্তির ওপর, জনগণের হৃদয়ে ফিরে আসে বিশ্বাস ও আস্থা।

 

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে তিনি শুধু বিএনপিকে নয়—সমস্ত বিরোধী শক্তিকে এক মঞ্চে নিয়ে আসেন। তাঁর দূরদর্শী চিন্তাধারায় জন্ম নেয় ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের সংস্কার প্রস্তাব—যা বিশেষজ্ঞদের মতে এক প্রজন্মের জন্য পথ নকশা, একটি জাতির পুনর্জন্মের ঘোষণা।

 

ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাঁর বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত স্লোগান—“দফা এক, দাবি এক—খুনী হাসিনার পদত্যাগ”—বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে বজ্রপাতের মতো প্রতিধ্বনিত হয়। তাঁর নেতৃত্বেই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়, আর পতনের মুখে পালিয়ে যায় এক দেড় দশকের স্বৈরশাসন।

 

আজ গোটা জাতি তাকিয়ে আছে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকে—যেখানে তারা দেখতে চায় এক নতুন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় তারেক রহমানকে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ, প্রগতিশীল ও আওয়ামী জঞ্জালমুক্ত—এই বিশ্বাসে বুক ভরে উঠছে কোটি মানুষের।

 

দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নগরের অলি-গলিতে, প্রত্যাশার ঢেউ একটাই—খুব শিগগিরই প্রবাসের মাটি ছেড়ে দেশের মাটিতে পা রাখবেন তিনি, হাতে তুলে নেবেন আগামীর বাংলাদেশের হাল। আর সেই দিনটি হবে—বাংলাদেশের নবজাগরণের সূর্যোদয়।

 

লেখক: 

ড. খন্দকার মারুফ হোসেন

সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি

ও আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShasTech-IT