চালু হচ্ছে লালমনিরহাট বাসীর স্বপ্নের গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু
মেঘনা নিউজ ডেস্ক রবিবার রাত ০৮:২৭, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ঈশাত জামান মুন্না
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু
লালমনিরহাটের কাকিনা মহিপুর রোডে তিস্তা নদীর ওপর নবনির্মিত ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ চালু হচ্ছে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর)। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এরপরই তা খুলে দেওয়া হবে যান ও জনচলাচলের জন্য।
মহিপুর-কাকিনা পয়েন্টে এলজিইডির বাস্তবায়নে নবনির্মিত ৮৫০ মিটার দৈর্ঘের এই সেতুটি নির্মাণকালে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু হিসেবে প্রচার হয়। পরে রংপুরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও গঙ্গাচড়া উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবরূপ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার নামে নতুন এই সেতুর নামকরণ করা হয়।
সেতুর সুবিধাভোগী বাসিন্দারা জানান, তিস্তার এক পাশে রংপুর, আরেক পাশে লালমনিরহাট। সেজন্য লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ চারটি উপজেলার লোকজনকে রংপুরসহ সারাদেশে যাতায়াত করতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার ঘুরতে হতো। এ অবস্থায় তিস্তার ওপর একটি সেতুর স্বপ্ন সেখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের। সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে রোববার।
এ সেতু নির্মাণের ফলে একসময়ের ‘মঙ্গাপ্রবণ’ এ এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে নবনির্মিত ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। সেতুর দুই পাশে ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ উল্লেখ করে লাগানো হয়েছে ফলক। লাল-সাদা রঙে সজ্জিত সেতুর ওপর উড়ছে রঙিন পতাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সেতুর আশপাশের এলাকাজুড়ে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনও। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেতুর উত্তরপ্রান্তে করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল, সেখানেও যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন।
নতুন এই সেতুর উদ্বোধন বিষয়ে লালমনিরহাট (২) আসনের সংসদ ও মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেন, সেতুটি নির্মিত হওয়ায় লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরন হয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে এটি বিবেচিত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরন্তর উদ্যোগ ছাড়া এ সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হতো না। এই সেতু নির্মাণের ফলে রংপুর ও লালমনিরহাটের মধ্যকার যোগাযোগ সহজতর হয়েছে।।