চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৮ কোটি টাকার ভারতীয় অলংকারসহ আটক-১
এস এম সাখাওয়াত মঙ্গলবার রাত ১১:১৮, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় অলংকার জব্দ করেছে বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ সীমান্তের পানামা পোর্ট লিংক এলাকায় বাংলাদেশী পণ্যবাহি একটি ট্রাকে পরিচালিত বিশেষ এক অভিযানে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবি ভারতীয় অলংকারসমূহ উদ্ধার করে।
অভিযানে ৪৩৭ কেজি রৌপ্য সদৃশ এবং ৩৩০ কেজি সিটি গোল্ডের ভারতীয় অলংকারাদি উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ট্রাকের চালক এবং জব্দ করা হয় ট্রাক।
এসব বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
আটক ট্রাক চালক জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ এলাকার বালিয়াদিঘী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুস শুকুর (৪০)।
মঙ্গলবার দুপুরে সোনামসজিদ বন্দর এলাকায় বিজিবির সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের চত্ত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জানান, বাংলাদেশী ট্রাকে করে চোরাকারবারী কর্তৃক ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিপুল পরিমান চোরাচালানী মালামাল পাচার হবার নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত গভীর রাত সোয়া ২টায় মঙ্গলবার সোনামসজিদ বিওপির একটি চৌকষ টহল দল সীমান্ত পিলার ১৮৪/৪-এস হতে ৯ শত গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দরের পানামা পোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৫০০ বস্তা চায়না ক্লে পাওডার বহনকারী বাংলাদেশী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৪৮৩৩) পানামা হতে বের হলে বিজিবি টহল দল তা তল্লাশি করে। এ সময় ট্রাকে থাকা ৫৬টি বস্তার ভেতর চায়না ক্লে পাওডারের মধ্যে লুকায়িত অবস্থায় ৪৩৭ কেজি রৌপ্য সদৃশ এবং ৩৩০ কেজি সিটি গোল্ডের প্রায় ১৯ মন ভারতীয় অলংকারাদি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮ কোটি।
তিনি জানান, অভিযানে অবৈধ পণ্যবাহি ট্রাকটি জব্দ করা হয় এবং ট্রাক চালক শুকুরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অলংকার ও জব্দকৃত ট্রাকসহ শুকুরকে শিবগঞ্জ থানায় আইনী প্রক্রিয়ায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ৫০০ বস্তা চাইনা ক্লে পাওডারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাবাজার পাবনার মেসার্স কাজী ট্রেডিং এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট হচ্ছে গালাফ ওরিয়েন্ট সীওয়ে যার স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন নূর আমিন। এর আগেও চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর একই সিএন্ডএফ এজেন্ট একই প্রক্রিয়ায় ১৮১ বোতল আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় পণ্য চোরাইভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন যা ৫৯ বিজিবি জব্দ করে। ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধ মালামাল পরিহনে এই এজেন্টের প্রবনতা রয়েছে। আর তাই অবৈধ মালামাল পাওয়ায় আমদানি কারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট উভয়ের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হেেয়ছে।
এ সময় সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম জাকারিয়া সহ ব্যাটালিয়নের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।