শাটডাউনে অচল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর

এস এম সাখাওয়াত
রবিবার দুপুর ০২:৫৪, ২৯ জুন, ২০২৫
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থায় পড়েছে দেশের দ্বিথীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দর। ফলে বন্ধ রয়েছে আমদানি রপ্তানি। এতে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (২৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যবাহী কোন ট্রাক বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি এবং বাংলাদেশী পণ্যবাহী কোন ট্রাক বন্দর অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেনি। এর আগে গতকাল শনিবারও (২৮ জুন) সারাদেশের ন্যায় আমদানী রফতানী বন্ধ ছিল সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দরের।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশ প্রান্তে প্রায় ২০টি গাড়ি আটকে গেছে। গাড়িগুলোতে সুতা, প্লাস্টিক ও খাদ্য জাতীয় পণ্য আছে। অপরদিকে, ভারতের মোহদীপুর স্থলবন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শত ট্রাক। এই স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রফতানি বন্ধ থাকায় দিনে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে আরিশা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আলমগীর জুয়েল বলেন, গতকাল শনিবার থেকে ভারতের মোহদীপুর স্থলবন্দও দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকে আছে প্রায় ৭ শত পণ্যবাহী ট্রাক। এর মধ্যে আমার নিজের প্রায় ২০টি ট্রাকে পণ্য আছে। এতে দেশে বিভিন্ন পণ্যের যোগান কমে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসের দাম বাড়তে পারে। দ্রæত এটির সমাধান দরকার।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নূরুল হাসান জানান, শনিবার সারাদিন শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সকাল থেকেও শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, কর্মসূচির কারণে আমদানি রফতানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ আছে। গতকালও দুই দেশের মধ্যে কোন ট্রাক যাতায়াত করেনি, আজও করেনি।