এসএসসি পরীক্ষার্থী খাদিজার শ্রুতিলেখক নিশান
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঙ্গলবার রাত ১১:০০, ২ মে, ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে শ্রীরামপুর গ্রামের খাদিজাতুল কুবরা খাদিজা জন্মগত ভাবেই ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন। কিন্তু শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতা তাকে কোন ভাবেই শিক্ষা গ্রহণে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বরং চলতি বছরে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সহায়তা নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্কুলের এই শিক্ষার্থী।
খাদিজার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল শহরের গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়। মঙ্গলবার (২ মে) পরীক্ষা শেষে খাদিজা জানায়, পরীক্ষার প্রশ্ন যে খুব সহজ তেমন নয়।
আবার কঠিন তেমনও নয়। মোটামুটি ভালোই ছিল আমার জন্য। লেখার মতোই প্রশ্ন প্রনয়ন করেছেন স্যারেরা। আর তাই পরীক্ষা ভালোই হয়েছে বলা যায়।
তবে আপনার তো দৃষ্টিশক্তির সমস্যা কেমন করে পরীক্ষা দিলেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে খাদিজা বলেন তাকে লেখায় সহযোগিতা করেছেন জেলার শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপিঠ হরিমোহন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসিদুর রহমান নিশান। তাকে (নিশান) যা লিখতে বলেছি তাই সে লিখে গেছে। নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই সব প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে জানান খাদিজা।
এ বিষয়ে গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা খাতুন জানান, শ্রুতি লেখকের সহায়তায় পরীক্ষা দিয়েছে খাদিজা। নিয়ম অনুয়ায়ী তাকে ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়। প্রশ্ন যা ছিলো তার উত্তরে সে যা বলেছে শ্রুতি লেখক নিশান তাই লিখেছে বলে জানিয়েছে সে। আজ দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা হলেও গত রোববার (৩০ এপ্রিল) শুরু হওয়া প্রথম পরীক্ষা থেকেই শ্রতি লেখকের সহায়তা নেয়া হয়েছে চলবে শেষ পরীক্ষা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন ১৮ হাজার ৭৭৫ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৩৪১ জন। জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯টি কেন্দ্রে সুন্দরভাবে পরীক্ষা চলছে। তবে জানামতে একজন ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখকের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।