উত্তরাধীকার ফাঁকি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি বুধবার রাত ১১:২২, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ইকবাল হাসান, নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার টাকা এককভাবে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে ভাতাভোগী এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে আপন আরো সাত ভাই-বোনে।
লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগ অফিসে বুধবার(২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাই শেখ সাহিদুর রহমান স্বাধীন লিখিত অভিযোগে জানান, দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে মোঃ মোশোরেফ হোসেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন। মৃত্যুর পরে সরকার মোঃ মোশোরেফ হোসেন এর নামে রাষ্ট্রীয় সম্মানিভাতা বরাদ্দ দেয়। মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-২০৭২, মুক্তিবার্তা ( লাল বই ) নং-০৪০৭০২০৪১৪।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী-সন্তান না থাকায় ওই সম্মানিভাতা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পিতা আব্দুর রশিদ নিজেই উত্তোলন করতেন। আব্দুর রশিদ শেখের মৃত্যুর পরে আব্দুর রশিদের স্ত্রী (শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মা) মোসাঃ সখিনা খাতুনের নামে উক্ত ভাতা চালু হয়। ২০১৭ সালের ১৩ আগষ্ট সখিনা খাতুনের (শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মা) মৃত্যুর পরে মৃত সখিনা খাতুনের বিধবা বড় মেয়ে (শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বোন) বেবী খাতুন ভাতার টাকা পেয়ে আসছিলেন এবং উত্তরাধীকারদের মধ্যে সমবন্টন করছিলেন।
পরবর্তীতে সরকার প্রজন্মভাতা ঘোষণা দিলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সুচতুর ভাই মসিয়ার রহমান শেখ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তথ্যগোপন করে নিজ বড় বোন বেবী খাতুনের নাম বাদ দিয়ে ভুয়াকাগজপত্র তৈরী করে নিজের নামে ওই সম্মানিভাতা করে নেন। মসিয়ার শেখ একাধীক উত্তরাধীকার থাকা সত্বেও একাই এখন ভাতার টাকা উত্তোলন করে খাচ্ছেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বঞ্চিত উত্তরাধীকার মেয়ে বেবী খাতুন, সুফিয়া বেগম, লিলি রহমান, নাসিমা বেগম, জেসমিন বেগম সহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আব্দুর শুকুর, শেখ সাহিদুর রহমান তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ওই সাত-ভাইবোনে অভিযোগ করেন মসিয়ারকে তাদের আরেক ভাই শরিফুল সহযোগিতা করছে।
অভিযুক্ত মসিয়ার এ বিষয়ে বলেন, ওরা মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বিরোধী। সরকার আমারে দেছে,আমি খাচ্ছি। অভিযুক্ত শরিফুলকে পাওয়া যায়নি। আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, সমাজসেবক রফিক প্রমুখ।