ঘূর্ণিঝড় আম্পানে শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার নেবুবুনিয়া ওয়াফদা রাস্তাটি ভেঙ্গে গত ২০ আগস্ট প্লাবিত হয় বিস্তিন্ন এলাকা। যার ফলে পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকে এলাকার, হাজার হাজার মানুষ।

মানুষের দুর্দশা লাঘবের লক্ষে, গাবুরা ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক জি এম শফিউল আযম লেনিনের আহ্বানে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের মধ্য দিয়ে, রিংবাঁধ দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ২১ আগস্ট আমাবশ্যার প্রভাবে, নদীর জোয়ার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হওয়ায় আবারও রিংবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় গাবুরা ইউনিয়ন। পুনরায়, জি এম শফিউল আযম লেনিনের ডাকে হাজার হাজার মানুষ সতস্ফুর্ত ভাবে একত্রিত হয়ে, গাবুরা নেবুবুনিয়া রিংবাঁধ নির্মাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

দীর্ঘ ৩/৪ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনমিয়ে রিংবাঁধ সম্পন্ন করেন তারা। স্বেচ্ছা শ্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন, গাবুরা ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রতিনিধি বৃন্দ, যার মধ্যে রয়েছে, ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, জি এম আবিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য জি এম গোলাম মোস্তফা, ইউপি সদস্য, মাষ্টার আব্দুর রহিম, ইউপি সদস্য, খাঁন ফজলুল হক, জি এম ইমাম হোসেন (যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গাবুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ) সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গাবুরার সকল সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

গাবুরার গণমানুষের নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আযম লেনিন বলেন, গাবুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে জানাই শুভেচ্ছা, প্রতিটি দূর্যোগে তিনি আমাদের পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সকল দূর্যোগে মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সাধারণ কর্মী হয়ে অসহায় উপকূলীয় এলাকাবাসীর পাশে আমি আমৃত্যু থাকবো। তিনি ধন্যবাদ জানান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালকে।

লেলিন আরো বলেন, আমরা যে রিংবাধ সম্পন্ন করেছি সেটা, সাময়িক সময়ের জন্য। খুব দ্রুত টেকশই স্থায়ী বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।