১৬৯ ছাত্রীকে ট্রমাটাইজ করা হচ্ছে, দাবি অভিভাবকদের
মেঘনা নিউজ ডেস্ক রবিবার বেলা ১২:৩৫, ১৭ মার্চ, ২০২৪
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের মধ্য দিয়ে তাদের ট্রমাটাইজ করে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা। তারা জানান, আকস্মিকভাবে এই ভর্তি বাতিল, কোমলমতি শিশুদের কেবল মানসিকভাবেই বিপর্যস্ত করেনি; বরং তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন এবং মানসিক বিকাশও আজ হুমকির সম্মুখীন।
আজ শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব বিষয় উপস্থাপন করেন।
অভিভাকরা বলেন- অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার্থে তাদের বাসা ও কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করেছেন।
আবার অনেকে ভিন্ন জেলা থেকেও ঢাকায় স্থানান্তর হয়েছেন। ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে এবং নানা রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তাদের দাবি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও ভিকারুননিসার স্কুলের সমন্বয়হীনতার কারণে কোমলমতি কন্যাশিশুদের ভর্তি বাতিল করে সারা জীবনের জন্য ট্রমাটাইজ করে ফেলা হচ্ছে। প্রিয় স্কুল হয়ে যাচ্ছে দুঃস্বপ্ন, বিষাদ ও আতঙ্কের নাম।
মাউশির ভর্তি নীতিমালার ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। তবে ভর্তির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় মাউশির পোর্টালের মাধ্যমে। সেখানে বয়সের ঊর্ধ্বসীমার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। মাউশির তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।
এতে অভিভাবকদের অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ নেই।
অভিভাকরা আরো জানান, একজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। অন্য বিদ্যালয়ে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারলে ভিকারুননিসায় কেন ভিন্নতা হবে। ভর্তির তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর এখন কেন ভর্তি বাতিল করা হচ্ছে? এখন পছন্দক্রমে থাকা অন্য স্বনামধন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগও নেই। বছরের মাঝামাঝি সময় তারা কোথায় যাবে? তদের ভবিষ্যৎ কী?
চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।
যাদের জন্মসাল ছিল ২০১৫ ও ২০১৬ সাল। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, ২০১৭ সালে জন্মসনদ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীরাই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। গত ৬ মার্চ প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের পর এসব শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে এই ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।