চাঁপাইনবাবগঞ্জে জয়ীতা এনজিওর মূলহোতাসহ আটক ৩
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন মঙ্গলবার সকাল ১০:৩৯, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে গ্রামের গরীব অসহায় লোকদের টাকা বিনিয়োগ ও ঋণ নেয়ার জন্য উস্কানি প্রদান করে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎকারী ভূয়া এনজিও জয়ীতা কঞ্জুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটির মূলহোতা সহ ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান পরিচালনা করে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত এনজিওটির অফিস কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের মনিরুল ইসলামের ছেলে জয়ীতা এনজিওর মূলহোতা খুরশীদ আলম (৪৩), একই ইউনিয়নের আমিনুল ইসলামের ছেলে মাঠকর্মী সাকিম বিল্লাহ (২৫) এবং আব্দুল কাইউমের ছেলে মাঠকর্মী জসিম উদ্দিন (২৫)।
এ বিষয়ে র্যাবের মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বালিয়াডাঙ্গার একটি ভূয়া এনজিও জয়ীতা কঞ্জুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অফিস কক্ষে অভিযান পরিচালনা করে এনজিওর দুই জন মাঠকর্মী সাকিম ও জসিম সহ প্রতিষ্ঠানের মূলহোতা খুরশিদকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা গ্রাহকের ৪টি পাশ বই, ৪টি রেজিষ্টার খাতা, ৪টি কালেকশন শীট, ৫টি বিভিন্ন ধরনের সীল, রুপালী ব্যাংকের ১০০ পাতার১টি চেক বই এবং ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রামের সহজ সরল অসংখ্য ভূক্তভোগী মানুষের জমাকৃত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকষ গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে ছায়া তদন্ত শুরুর প্রক্ষতে তাদের আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে টাকা গ্রহণ করে প্রতারনা চক্রের সাথে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে বলে জানান অধিনায়ক।
এই ঘটনায় নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।