সন্ধান মিললো শার্শা উলাশী ইউনিয়নের সেই কুঁড়িয়ে পাওয়া নবজাতক শিশুর
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার দুপুর ০৩:৫৫, ২ মে, ২০২০
মো: নয়ন সরদার,শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় মাঠ থেকে নবজাতক উদ্ধার, কৃষকের ঘরে পেল ঠাই, কৃষকের নাতি কৃষকেরই অজানা ৷তারা সত্যিটা মুছে ফেলতে চাইলেও চেষ্টায় ব্যর্থ সেই কৃষক পরিবার৷যে নবজাতক পরিচয় বিহীন মাঠে পড়ে ছিল, আর যে কৃষক উদ্ধারের নামে মিথ্যা নাটক করে যাচ্ছে, তারা আসলে একই পরিবারেরই৷ কিন্তু, মিথ্যা অভিনয় করলো কেন? তা জানতেই বেরিয়ে আসে রহস্য। অজ্ঞাত নবজকের পরিচয় কি, এখন সে কোথায় আছে, এসব প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে বের হল আসল রহস্যময় অসামাজিক কার্যকলাপের মুল সত্য ঘটনা। ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শার্শা উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামের পটল ক্ষেতের আইলের উপর থেকে বস্তাবন্দী অজ্ঞাত নবজাতক শিশুটি উদ্ধার করেন একই গ্রামের বজলুর রহমান নামের এক কৃষক। এমন একটা ঘটনা ঘটতেই এলাকাজুড়ে হইচই শুরু হয়। নবজাতক শিশু ছেলেটি নেওয়ার জন্য চারিদিক থেকে লোকজন মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্ত, বজলুর রহমান এই উদ্ধারের মিথ্যা নাটক টি বাচ্চাটি বেচার জন্য উদ্দেশ্যে করেনি। সে সত্যটা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে সে বুঝতে পারি নি, তখনই বের হয় আসলের নবজাতক শিশুটি কার সত্যি আসল পরিচয় কী? কৃষক বজলুর রহমানের ভাই ফজলুর রহমানের স্বামী পরিত্যক্তা কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সদ্য প্রসব করা নবজাতকটি আসলে তাদের পরিবারেরই সদস্য! ভাতিজার অবৈধ সন্তানকে নিজের করার জন্য এ অভিনয়। মুল ঘটনা হলো, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার শ্রীরামকাটি কুলি গ্রামের শাকিল হোসেন (বকুল) নামে এক কুলের ব্যবসায়ী ও নাজমা খাতুনের অবৈধ সম্পর্কের ফসল এই নবজাতক বাচ্চাটি। নবজাতক বাচ্চাটি যে নাজমা খাতুনের, এটা তার পরিবার অস্বীকার করলেও নাজমা খাতুন সত্যটি স্বীকার করেছে। সে তার বড় চাচি বজলুর স্ত্রীর কথা অনুযায়ী তাতে রাজি হয়। কারন, নিঃসন্তান বজলুর স্ত্রীর একটা সন্তানের প্রয়োজন ছিলো। তারা এলাকার মানুষকে মিথ্যা অভিনয় করে নিজেদের বাচ্চা নিজেদের করার জন্য এত লোক দেখানো নাটক করলো। বাচ্চা নিজেদের বাড়িতেই থাকবে কিন্তু সবাই জানবে তারা মাঠে বাচ্চাটি কুড়িয়ে পেয়েছে। কিন্তু সত্য কি চাপা থাকে? পরিচায় দেওয়ার মালিক আল্লাহ! এখন এই ঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের একটিই প্রশ্ন মাঝে কী পরিচয় হবে? আমাদের উপজেলা প্রতিনিধি সেখানকার ইউপি মহিলা সদস্য মমতাজ বেগমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে মমতাজ বেগম সংবাদকর্মী জানাই, বর্তমান শিশুটি তার আসল মায়ের কাছেই আছে।