ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুরের বানিয়া পাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আমরন অনশন
সেলিম রেজা,ঠাকুরগাঁও শুক্রবার বিকেল ০৪:০৬, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুরের বানিয়া পাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আমরন অনশন ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায় গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী দুলালী রানী(১৯) পিতাঃঅখিল চন্দ্র বর্মন গ্রামঃগড়েয়া গোপালপুর বানিয়া পাড়া, থানা ও জেলাঃ ঠাকুরগাঁও এর সাথে একই এলাকার দিনাজপুর পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র তাপোশ চন্দ্র বর্মন পিতাঃপরেশ চন্দ্র বর্মন এর দীর্ঘ দুই বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে দুলালী রানীকে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে শারীরিক ও দৈহিক সম্পর্ক করে।
তাপোষ কয়েক দিন পূর্ব দুলালী রানীকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে চন্ডিপুর বাঘের হাটে তাদের আচরণ দেখে সন্দেহ হলে কিছু লোকজন দুলালী ও তাপোষকে আটক করে মোবাইলে তাদের অভিভাবকদের জানালে উভয়ের অভিভাবক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে তাদেরকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়।
এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্কের ঘটনা টি জানাজানি হয়ে গেলে ছেলে বাবা পরেশ চন্দ্র বর্মন তা মেনেনিতে অস্বীকার করলে দুলালী রানী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গড়েয়ায় একটি ক্লিনিকে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ভাগ্য ক্রমে দুলালী রানী বেঁচে যায়।
এ বিষয়ে দুলালী রানীর বাবা বাদি হয়ে গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করে। আপোষ মিমাংসার জন্য পরিষদের দেওয়া নির্ধারিত তারিখে তাপোষ উপস্থিত না থাকায় গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ (রেদো) তাপোষকে হাজির করার জন্য তার পরিবারকে সাত দিনের সময় বেঁধে দেন কিন্তু সাত দিনেও হাজির করতে না পারায় চেয়ারম্যানের কাছে আরো দশ দিনে সময় চাইলে দুললী রানী ঘটনাটি জানতে পারলে ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাপোষের বাড়িতে গিয়ে আমরন অনশন শুরু করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন তা দেখার জন্য ভীড় করে।
মেয়ের উপস্থিত টেরপেয়ে ছেলের পরিবারের লোকজন আত্নগোপনে রয়েছে বলে জানা যায়।