চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোট যুদ্ধে জয়ী বড় ভাই
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ শুক্রবার রাত ১১:১৯, ৭ জানুয়ারী, ২০২২
সদ্য সমাপ্ত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের নির্বাচনের মধ্যে শাহজাহানপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়েছিলেন দুই ভাই। আর বয়সের ব্যবধান খুব বেশি না হওয়ায় দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিল খুবই ভালো।
দুজনই চেয়েছিলেন নৌকার মনোনয়ন। কিন্তু নৌকার মনোনয়ন পেয়ে যান ছোট ভাই। পরে বড় ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। দুই ভাইয়ের এই ভোট যুদ্ধে বাজিমাত করেছেন নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী বড় ভাই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এমনই পারিবারিক ভোটযুদ্ধ হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদে।
পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দুই চাচাত ভাই মিলে পেয়েছেন মোট ভোটের প্রায় ৮৯ শতাংশ। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ে ৫ হাজার ৬৩৫ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বড় ভাই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, শাহজাহানপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে ৯ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তরিকুল ইসলাম। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৯ ভোট।
একই পরিবারের দুইজন প্রার্থী হলেও প্রায় ৮৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দুই চাচাতো ভাই। ছোট ভাই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি নামোশংকরবাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তার আপন চাচাত ভাই নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী।
স্থানীয় তরুণ ইমতিয়াজ কবীর ফারাবী বলেন, আপন দুই চাচাতো ভাই ভোটে অংশ নেয়ায় ভোটের আমেজ আরও বেড়েছিল। উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট হয়েছে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, দুজনই প্রথমবার ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। তবে বিজয়ী তরিকুল ইসলামের বাবা গতবার আমার সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়। নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ইতোমধ্যে তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, শাহজাহানপুর ইউনিয়নে দু–একটি কেন্দ্রে ইউপি সদস্য পদে সামান্য ঝামেলা হলেও চেয়ারম্যান পদে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই আপন চাচাতো ভাইয়ের ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে আগে থেকে উদ্বেগ থাকলেও তেমন কিছুই হয়নি।