খানসামার চকরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার শূণ্য
মোঃ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৭:৪৩, ২ জুন, ২০২০
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, খানসামা, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার চকরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ইং খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় ৭জন পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি। রবিবার (৩১ মে) প্রকাশিত হওয়া ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পরীক্ষায় এ হেন ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে হতাশার ছাপ দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে চকরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের চকরামপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১১জন শিক্ষক ও ৩জন কর্মচারী কমর্রত আছে। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় খানসামা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেনি। ফলে উপজেলায় শূণ্য পাসের তালিকায় স্থান হয় প্রতিষ্ঠানটির। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা ঝড় ওঠে। এদিকে সমালোচনার এক পর্যায়ে উপজেলার নন-এমপিও শিক্ষকরা বলেন, সরকার নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান কিংবা শাখাগুলোর ক্ষেত্রে চারটি মানদন্ড নির্ধারণ করে দিয়েছেন যার একটির অনুপস্থিতিতে এমপিও হয় না। কিন্তু এরকম কিছু এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চারটি মানদন্ডের মধ্যে ন্যুনতম শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার ইত্যাদি না থাকলেও এমপিও ভোগ করে যাচ্ছেন। অথচ সরকার নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান কিংবা শাখাগুলোতে এমপিও দিয়ে উক্ত চারটি মানদন্ড নির্ধারণ করে দিলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো গুণগত মান বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপজেলার নন-এমপিও শিক্ষক গোষ্ঠী। এদিকে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের দাবি, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানসম্মত পাঠদান না করানোর ফলে এমন ফলাফল মানসম্পন্ন পাঠদান করানো হলে নিশ্চয়ই ভালো ফলাফল আশা করা যেত বলে তারা মনে করেন। চকরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম লিপু বলেন, এর আগে প্রতিটি ব্যাচে রেজাল্ট শতভাগ ছিল। এই বাচ্চাগুলো ইনঅ্যাকটিভ ছিল। অনেক চেষ্ঠা করেও এদের নিয়মিত করাতে পারিনি। তিনি আরো যুক্ত করেন যে স্থানীয় আশ-পাশের বিদ্যালয়ের চেয়ে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভালো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজমুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।