ইফতেখারুল ইসলামের কবিতার বই “ভালবাসার সাতকাহন”
এইচএম দিদার বুধবার ১২:১২, ৯ মার্চ, ২০২২
কবিতা মানেই আত্মার খোরাক। না বলা অনেক কথা, একটু আদর করে জানিয়ে দেওয়া। শব্দের মিশেলে বাক্যকে জীবন্ত করে তুলার নামই কবিতা।
তরুণ কবি ইফতেখারুল ইসলামের এবারের একুশের গ্রন্থমেলায় ‘ভালবাসার সাতকাহন’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পেশায় ব্যাংকার, তবে সাহিত্যে প্রতি রয়েছে তার ঝোক, কবিতা তার কাছে নেশার মতো। সময় পেলেই কবিতা লিখেন আনমনে। একসময় গণমাধ্যমে লেখালেখি করেছেন। দীর্ঘদিন তিনি লেখালেখি করেছেন সিদ্ধহস্তে। মাঝখানে নানা বৈরিতায় লেখালেখি থেকে দূরে থাকলেও বিরতির বাধা ভেঙে তিনি আবার নতুন উদ্যমে লেখতে শুরু করেন-এরই ফলশ্রুতিতে এই প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
তার কবিতায় স্থান পেয়েছে প্রেম, বিরহ ও প্রকৃতিসহ নানাবিধ বিষয়। এই কাব্যগ্রন্থে কবির ৬৪টি কবিতা স্থান পেয়েছে। এসব কবিতা সহজে হয়তো কেউ নাও বুঝতে পারেন। পাঠকদের হৃদয়ে ধরতে এবং পাঠকের কাছে সহজে অনুধাবন করাতে কবিতার ভাষাকে আরও সাবলীল ও সহজ করে তুলে আনতে কবিকে পরবর্তীতে সক্ষম হতে হবে। কবিতার ভাষা ও শব্দ ব্যবহারে কবিকে আরও সচেতন হতে হবে।
কাব্যগ্রন্থে তিনি–চিটিও কথোপকথন সংযোজন করেছেন, এতে পাঠক পড়ে মুগ্ধ হবেন। নিজের ভিতর প্রশান্তি খুঁজে পাবেন, কিন্তু হয়তো বোদ্ধাদের চোখে কুটুদৃষ্টিপাত হতে পারে। যাই হোক এই বিষয়টি লেখকের একান্ত নিজের। তবে বেশ কিছু কবিতা পাঠ করে পাঠক নিজেকেই হয়তো ফিরে পাবেন–এখানেই এই তরুণ কবির সফলতা।
তিনি মায়াজাল নামে একটি কবিতায় লিখেছেন–’পরের গীবত তোমার মুখে, গীতালি হয়ে সুর তোলে’ এখানে কবি গীবত গাওয়া মারাত্মক অপরাধ এবং গীবত থেকে দূরে থাকার আহ্বান করেছেন। অথচ সমাজ ও আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গীবত প্রবণতা আঁকড়ে ধরেছে।
তিনি একটি কবিতায় লিখেছেন–’অবিনশ্বর বলে কিছু নেই’। তিনি এতে বুঝাতে চেয়েছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা মরে যায়, কিন্তু প্রেম টিকে থাকে। হয়তো কালে কালে এমনই ঘটনা প্রমাণিত। লাইলি-মজনু নেই তবে তাদের প্রেম কাহিনি আজও মানুষ জানে।
শেষ করছি ‘স্বাধীনতার চাওয়া’ নামক কবিতার একটি লাইন দিয়ে। তিনি লিখেছেন–”স্বাধীনতা তুমি নও শুধু, মানচিত্রে আঁকা লাল-সবুজের নকশা।” একটি স্বাধীন দেশের, স্বাধীন নাগরিকের চাওয়া কী, আকুতি কী। এই কবিতায় সেকথাই লিখে তিনি দেশ প্রেমিক কবির পরিচয় দিয়েছেন। তাই তাকে বলা যায় তিনি একজন দেশপ্রেমিক কবি।