ঢাকা (রাত ১১:২৭) বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং

আল্লামা দুবাগী ছাহেব কিবলাহ (রহঃ)’র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন

<script>” title=”<script>


<script>

লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ব্রিকলেন জামে মসজিদে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, উস্তাদুল উলামা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, আল্লার ওলি, পীরে কামিল হযরত আল্লামা মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব কিবলাহ (রহঃ) এর ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে তাঁর পরিবার খতমে কোরআনের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং শিরনি বিতরণ গত ১৪ অগাস্ট শুক্রবার বাদ জুম্মা সম্পন্ন হয়েছে।

মাহফিলে বক্তারা তাঁর আলোকিত জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, হযরত আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) আধ্যাত্মিক জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। দ্বীনি বিষয়ের একজন সুবক্তা, মুনাজিরে আজম, শায়খুল হাদীস এবং মুফতীয়ে আজম হিসেবে তাঁর বিশাল পরিচিতি ছিল। তাকওয়া ও পরহেজগারী সহ বহুগুণের অধিকারী বিশিষ্ট বুযুর্গ ব্যক্তিত্ব।

তিনি ছিলেন বৃটেনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এক বর্ষীয়ান দিকপাল। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা বিশ্বাস প্রচার ও প্রসারে তাঁর অবদান মুসলিম উম্মাহ সর্বদা মনে রাখবে। এ মহান বুজুর্গ পরিপূর্ণভাবে শরিয়তের অনুসারী ছিলেন। ওয়াজ নসীহত, মুনাজিরা ও লেখনীর মাধ্যমে তিনি দ্বীনের সঠিক শিক্ষা প্রসারে আমৃত্যু চেষ্টা করে গেছেন।

হযরত আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) মাসলা-মাসায়েল সম্পর্কে বিস্মিত হবার মত প্রগাঢ় জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। যে কোন কঠিন মাসলায় তাঁর দালিলিক সমাধান সর্বদলীয় ওলামায়ে কেরামের কাছে ঐক্যমতে গ্রহণযোগ্য ছিল। বিভিন্ন শহর থেকে ইমাম ও খতীবগণ তাঁর খেদমতে হাজির হয়ে জঠিল মাসালাগুলোর সমাধান জানতে চাইতেন।

ফিকাহ শাস্ত্রে আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) এর পাণ্ডিত্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন আদালতে স্বীকৃত। অনেক জটিল ধর্মীয় ইস্যুতে তাঁর ডাক পড়েছে এমিকাসকিউরি হিসেবে। নিয়মিত তিনি কোরআন, হাদীস ও কিতাব চর্চা করতেন। তিনি অসংখ্য দেশ সফর করেছেন। আরবী, উর্দু ও ফার্সি ভাষায় তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল এবং এসব ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা দিতেন।

তিনি ছিলেন উদার মানসিকতা ও নিরহংকার, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ছোট-বড় সকলের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। কাউকে নিরাশ করতেন না। মানুষ যেকোন সমস্যা বা পরামর্শের জন্য আসলে সময় দিয়ে উদার মনে তার সাথে কথা বলতেন এবং শুনতেন। জ্ঞান ও গুণে এত বড় হওয়া সত্ত্বেও কোন ধরনের অহমিকা বা অহংকারমূলক আচরণ থেকে মুক্ত ছিলেন তিনি। জীবনে বড় ও সফল হওয়ার জন্য নিয়ম ও সময়ানুবর্তিতা একটি প্রধান শর্ত। হযরত আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) প্রতিদিনের কাজ যথাসময়ে যথানিয়মে করা এটি ছিল তাঁর জীবনের একটি বড় বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে যেমন মেধা ও জ্ঞান দিয়েছিলেন, তেমনি সেই জ্ঞান বিতরণের জন্য চিত্তাকর্ষক বয়ানের যোগ্যতাও দান করেছিলেন। তাঁর পুরো ওয়াজেই হতো কুরআনের তাফসীর, না হয় হাদীসের শরাহ বা ব্যাখ্যা। তাঁর প্রায় ওয়াজের মধ্যেই একটি মৌলিক বিষয় ছিল, সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত মযবুত যুক্তি ও দলীলের আলোকে আলোচনা করা। তিনি সরাসরি আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম ও ওলি আওলিয়াদের জীবন থেকে শিক্ষণীয় ঘটনা তুলে ধরতেন। সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো এতটা প্রাঞ্জল ভাষায় ও যুক্তিসহ পেশ করতেন যে, মানুষ সহজেই অভিভূত হয়ে যেতেন।

পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় পীর মাশায়েখ ও উলামায়ে কেরাম এর সাথে ছিল তাঁর আন্তরিক সম্পর্ক। মেহমানদারি ছিল তাঁর বিশেষ বৈশিষ্ট্য মেহমানদের আদরযত্ন এবং নিজ হাতে মেহমানদারি করতেন। খেদমতে খালক বা মানবকল্যাণে নিবেদিত একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবেও তাঁর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। সর্বদা এতীম, বিধবা ও গরীবদেরকে দান খয়রাত করতেন।

তিনি বাংলা, উর্দু এবং আরবী ভাষায় প্রায় শতাধিক প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, মীলাদে বেনজীর, ফাদ্বাইলে শবে বরাত, মানাছুল মুফতী, কদমবুছির তথ্য ও ফাতওয়ায়ে মুজাহিদিয়া প্রমুখ। বরেণ্য এ শিক্ষাবিদ ছিলেন সুকন্ঠের অধিকারী ও মিষ্ঠ ভাষী এবং তার হাতের লেখা ছিল মুক্তার মতন সুন্দর।

আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) একজন প্রবন্ধকার ও ছিলেন, বিভিন্ন সময় দৈনিক ইনকিলাব, সিলেটের ডাক, মাসিক শাহ জালাল ও পরওয়ানা এবং বিলেতে প্রকাশিত সপ্তাহিক জনমত, বাংলা পোস্ট, সুরমা, নতুন দিন এ নানাবিধ বিষয়ে তাঁর লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) এর দ্বীনের খেদমতের মধ্যে বিলেতে লেস্টার দারুসসালাম মসজিদ, নিউক্রস জামে মসজিদ এবং ব্লাকবার্ন শাহ জালাল মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮০ সালে তিনি ইউকে আঞ্জুমানে আল ইসলাহ সংগঠনের বুনিয়াদ স্থাপন করেন এবং ইউকে ওলামা সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ইং প্রধান উদ্যোক্তা হয়ে লন্ডনের দারুল হাদীছ লতিফিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া অনেক খানেকা, মক্তব, মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছেন এবং বহুসংখ্যক কিতাবাদী লিখেছেন যা দ্বীনের খেদমতে উম্মতের উপকারে আসবে ।

আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) একজন তাসাউফপন্থী খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন হয়েও তিনি ছিলেন আজীবন বাতিল ও খোদাদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে নির্ভীক বজ্রকণ্ঠ মর্দে মোজাহিদ। গর্জে উঠতেন যে কোন ইসলামবিরোধী কাজকর্মের বিরুদ্ধে। তিনি সালমান রুশদী, তসলিমা নাসরীন, দাউদ হায়দার, আলা উদ্দিন গং নাস্কিদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন।

দেশে বিদেশে সমকালীন অসংখ্য আলেমের ওস্তাদ। হযরত আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) বৃটেনের অন্যতম প্রবীণ শ্রদ্ধাভাজন এক জন আলেম ও পীরে কামেল ছিলেন। তিনি মানুষকে শরীয়তের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতেন। আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) হাজার হাজার মানুষকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। তিনি ছিলেন ইমামে আহলে সুন্নাহ। হযরত আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) সাত কিরাআতের ক্বারীউল ক্বোররা ছিলেন। তাঁর কিরাআতের উস্তাদ ছিলেন উপমহাদেশের পবিত্র কুরআনের উজ্জল নক্ষত্র রাইসুল ক্বোররা আলহাজ্ব হযরত ক্বারী বশির উদ্দিন কোনাগ্রামী (রহঃ)।

বক্তারা আরো বলেন, আল্লামা দুবাগী ছাহেব কিবলার(রহঃ) ইন্তেকালে মুসলিম উম্মাহ একজন ভদ্র, জ্ঞানী, মুহাক্কিক, পরম বিনয়ী, ভাষাবিদ্, কলমসম্রাট ও বুদ্ধিজীবী বুযুর্গ আলেম, আল্লাহর ওলী এবং অভিভাবককে হারালো। তাঁর অভাব কখনোই পূরন হবার নয়। দেশে বিদেশে অনেক আলেম-ওলামা ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। কিন্তু আল্লামা দুবাগী (রহঃ)’র সাথে সারিবদ্ধ করা যায় এমন মনীষীর সংখ্যা খুব বেশি পাওয়া যাবে না। তাঁর চেহারা ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়, যার ফলে যে কোন লোক তাকে একবার দেখামাত্র আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা ইয়াদ হত এবং দিলে সাক্ষী দিত উনিই আল্লাহর ওলি। আল্লামা দুবাগী (রহঃ)’র ব্যক্তিগত অভ্যাস, আচার-আচরণ, বাক-ভঙ্গি, চলাফেরার ধরন ও পোশাক-পরিচ্ছদ সব কিছুই ছিল সুন্নতে নববীর পাবন্ধী। তাঁরা দোয়া করেন আল্লাহ রব্বুল আলামিন এ মহান বুযুর্গের সব নেক কাজ কবুল করে তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও ভক্তদের ধৈর্য্য ধারণের তাওফিক দেন।আমীন।

আল্লামা দুবাগী ছাহেব কিবলার(রহঃ) বড় ছাহেবজাদা আল্লামা জিল্লুর রহমান চৌধুরী দুবাগীর সভাপতিত্বে ও হাফিজ মতিউল হকের পরিচালনায়, এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আলহাজ শফিকুর রহমান চৌধুরী; মাওলানা শফিকুর রহমান বিপ্লবী; মাওলানা ওলিউর রহমান চৌধুরী দুবাগী; মুফতী সৈয়দ মাহমুদ আলী; মুফতী ইলিয়াস হোসাইন; হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলিল; মুফতী আব্দুর রহমান নিজামী; মাওলানা আব্দুস সবুর; মাওলানা নজরুল ইসলাম; মাওলানা শিহাব উদ্দীন; মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী; মুফতী এহসান আহমেদ; মাওলানা আমিনুল ইসলাম; হাফিজ সাজ্জাদুর রহমান; ক্বারী গুলাম আজম; হাফিজ নাজিম উদ্দিন; হাফিজ আসাদ উদ্দিন; ব্রিকলেন জামে মসজিদের প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাজ্জাদ মিয়া; নিউক্রস জামে মসজিদ এর প্রেসিডেন্ট আলহাজ সেলিম রহমান; জনাব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক (সাধারণ সম্পাদক; ইউকে আওয়ামী লীগ); লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জনাব এমদাদুল হক চৌধুরী; জনাব হবিবুর রহমান ময়না (সভাপতি; বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্ট); প্রফেসর মিসবাহ উদ্দিন কামাল(ট্রেজারার, বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশন, ইউকে) প্রমুখ উলামায়ে কেরাম, রাজনীতিবিদ এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।

মীলাদ পাঠ করেন আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহঃ) এর ছোট সাহেবজাদা মাওলানা ক্বারী মহবুবুর রহমান চৌধুরী। দোয়া ও শিরনি বিতরণের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য ১০ই জুলাই ২০২০ইং রোজ শুক্রবার জুম্মার পূর্বে বার্ধক্যজনিত রোগে লন্ডনে ৯১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যুক্তরাজ্যে তিনি লেস্টারের ছাহেব হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর নামাজে জানাজা ১২ই জুলাই ২০২০ইং রোজ রবিবার বাদ যোহর লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ব্রিকলেন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বৃটেনে লকডাউনের মধ্যে সর্ব বৃহৎ জানাজা। নামাজে ইমামতি করেন তাঁর বড় ছাহেবজাদা হযরত আল্লামা জিল্লুর রহমান চৌধুরী এবং জানাজা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন শাইখুল হাদিস হযরত আল্লামা হবিবুর রহমান ছাহেব কিবলাহ।। পরে পূর্ব লন্ডনের মুসলিম কবরস্তান রিয়াদুস সালামে (গার্ডেন্স অফ পিস) দাপন সম্পূর্ণ হয়।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে, ১ মেয়ে, নাতী, নাতনী, অসংথ্য মুরিদান ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বড় সাহেবজাদা আল্লামা জিল্লুর রহমান চৌধুরী লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ব্রিকলেন জামে মসজিদের খতীব। মেঝো সাহেবজাদা মাওলানা ওলিউর রহমান চৌধুরী নিউক্রস মসজিদের খতীব। ছোট সাহেবজাদা মাওলানা ক্বারী মহবুবুর রহমান চৌধুরী একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও ইসলাম প্রচারে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

তাঁর ইন্তেকালে বিশ্ববরণ্য পীর মাশায়েখ, উলামায়ে কেরাম, রাজনীতিবিদ এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। যেসব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তারা হচ্ছেন, পীরে কামেল হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী; সিরিয়ার গ্রান্ড মুফতী শেখ আব্দুল জলীল আল আতা আল বাকরী; ইয়েমেনের দার আল-মুস্তাফার প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিন শেখ হাবিব ওমর; মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর ডঃ আবু লায়লা; কুয়েতের শাইখ সায়্যিদ মুহাম্মদ বিন সায়্যিদ ইউসুফ হাশিম আল রিফাঈ; পাকিস্তানের মিনহাজুল কুরআন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা শাইখুল ইসলাম ডঃ মোঃ তাহির আলকাদরী; পাকিস্তানের সুলতান বাহু দরবার শরীফের পীর সুলতান ফিয়াজুল হাসান কাদরী; পীর নুরুল আরিফীন সিদ্দিকী নেরিয়ান দরবার শরীফ পাকিস্তান; পীর আব্দুল খালিক আল মোজাদ্দেদী (দরবারে আলীয়া মুড়া শরীফ পাকিস্তান); আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।

লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসলিম; বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী; মোঃ শাহাব উদ্দিন, এম.পি, মন্ত্রী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ; সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু; মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ; কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমেদ; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জনাব ইকতেদার আহমেদ; সাবেক সচিব জনাব মাহফুজুর রহমান; দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক ও ঢাকা গাউসুল আজম মসজিদের খতীব আল্লামা কবি রুহুল আমিন খান; দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী; ডঃ মুফতী কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী (অধ্যক্ষ, নেছারিয়া কামিল মাদরাসা, ঢাকা); আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কো-চেয়ারম্যান, মাওলানা আবু সুফিয়ান খাঁন আবেদী আল কাদেরী; আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএসের প্রেসিডেন্ট হযরত আল্লামা জালাল সিদ্দীক; সাবেক সচিব ডঃ কবীর আশরাফ আলম; ডঃ মোঃ নুরুজ্জামান (পরিচালক, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি); চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ আমীর নাসরুল্লাহ; আল্লামা সাদিক কোরেশী (আমীর, মিনহাজুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল লন্ডন); আল্লামা জিশান কাদরী (ডিরেক্টর, মিনহাজুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল লন্ডন); আল্লামা রিয়াজ আহমেদ ছামদানি (খতীব, নিউহ্যাম মরকজি জামিয়া মসজিদ); আল্লামা এজাজ আহমেদ নেরভী (আমীর, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত লন্ডন); আল্লামা তারেক মাহমুদ (খতীব, আল হিরা মসজিদ, লন্ডন); আল্লামা সানাউল্লাহ ছেটি (প্রিন্সিপাল, আল মাদিনা এডুকেশন সেন্টার, লন্ডন); আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের প্রেসিডেন্ট হযরত মাওলানা হাফেজ আব্দুল জলিল; বিশিষ্ট টিভি ব্যক্তিত্ব হযরত মাওলানা শফিকুর রহমান বিপ্লবী (চেয়ারম্যান, নূরে মদিনা ফাউন্ডেশন); খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব প্রফেসর মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ; ক্যামব্রিজ রিসার্চ একাডেমির এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টর ডঃ আবুল কালাম আজাদ; লন্ডন দারুল উম্মার সাবেক প্রিন্সিপাল শাইখ আব্দুর রহমান মাদানী; লাতিফিয়া উলামা সোসাইটি ইউকের সেক্রেটারি মাওলানা ফরিদ আহমদ চৌধুরী; লাতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি ইউকের সেক্রেটারি হযরত মাওলানা মুফতী আশরাফুর রহমান; লাতিফিয়া উলামা সোসাইটি ইউকের সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা সিদ্দীকুর রহমান চৌধুরী; লাতিফিয়া ফুলতলী কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান; দারুল হাদীস লাতিফিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল কাহহার; আল ইসলাহ লন্ডন ডিভিশন এর সভাপতি হাফিজ মাওলানা কয়েছুজ্জামান; সহসভাপতি মাওলানা মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ; মুফতী এহসান আহমদ।

প্রফেসর শাহগির বখত ফারুক (চীফ এডভাইজার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স); জনাব গজনফর আলী (চেয়ারম্যান, ইলফোর্ড ইসলামিক সেন্টার); আলহাজ্ব ফখরু মিয়া চৌধুরী (চেয়ারম্যান, দারুস সালাম মসজিদ, লেস্টার); বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ হাসনাত হোসেন এমবিই; ব্যারিস্টার আতাউর রহমান (সভাপতি, গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট কাউন্সিল); আলহাজ্ব শেখ মুফিজুর রহমান (চেয়ারম্যান, বাংলা পোস্ট); জনাব গিয়াস উদ্দীন (সাবেক হাই কমিশনার লন্ডন); আলহাজ্ব বশির উদ্দিন আহমেদ (ট্রাস্টী, দারুল হাদীস লতিফিয়া লন্ডন); জনাব সুলতান শরীফ (প্রেসিডেন্ট, ইউকে আওয়ামী লীগ); জনাব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক (সাধারণ সম্পাদক, ইউকে আওয়ামী লীগ); বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহিদুর রহমান; ব্যারিস্টার গৌছ উদ্দিন; টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক মেয়র জনাব লুৎফুর রহমান; আলহাজ্ব নাসীর আহমেদ (চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাল্টি-পারপাস সেন্টার, বার্মিংহাম); আলহাজ্ব আহমাদুল হক এমবিই (মেয়র, স্যান্ডওয়েল কাউন্সিল); সিলেট সরকারী আলীয়া মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মওদুদ হাসান; দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের আমীর জনাব হাসান মঈনুদ্দিন; বিয়ানী বাজার পৌর মেয়র জনাব আব্দুশ শুকুর; জনাব মুহিবুর রহমান মুহিব (প্রেসিডেন্ট, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকে; জনাব আব্দুল করিম নাজিম (সভাপতি, বিয়ানী বাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট); জনাব হবিবুর রহমান ময়না (সভাপতি, বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্ট); চ্যানেল এসের চেয়ারম্যান জনাব আহমুদুস সামাদ চৌধুরী; চ্যানেল এসের এমডি জনাব তাজ চৌধুরী; লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জনাব এমদাদুল হক চৌধুরী; জনাব বেলাল আহমেদ (প্রধান সম্পাদক, সপ্তাহিক পত্রিকা); জনাব তাইসির মাহমুদ (সম্পাদক, সপ্তাহিক দেশ পত্রিকা লন্ডন); জনাব তারেক চৌধুরী (সম্পাদক, বাংলা পোস্ট) ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ গ্রামে আল্লামা মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী (রহঃ) ১৯২৯ সালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি দাখিল থেকে ফাজিল সকল স্তরে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আলেম পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্টার বৃত্তি পেয়েছেন। তিনি গাছবাড়ি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল ও সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। ১৯৬১ সালে কামিল ক্লাসে অধ্যয়ন কালে তিনি সিলেট জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি ছিলেন শামছুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহঃ) এর অন্যতম খলিফা।

কর্মজীবনে হযরত আল্লামা মুজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী (রহঃ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল, শায়খুল হাদীস ও মুফতী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে স্থায়ীভাবে ব্রিটেনে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার খিদমতে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি তাঁর কর্ম জীবন এর একটা বড় অংশ ব্রিটেনের লেস্টার শহরের দারুস সালাম মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা এবং খতীব হিসেবে কাটিয়েছেন বলে ব্রিটেনে তিনি লেস্টারের ছাহেব নামে সুপরিচিত ছিলেন।প্রায় চার দশক সেখানে তিনি প্রতিদিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দরসে হাদিস তথা ইসলামিক আলোচনা করতেন। প্রতি রবিবারে কোরআন থেকে তাফসীর করতেন। বৃহস্পতিবারে খানকা তথা জিকির ও এবাদতের অনুষ্ঠান ছিল খুবই জনপ্রিয়। তাঁর প্রচেষ্টায় অনেক সাধারণ মানুষকে আলিমে পরিণত করেন। এভাবে তিনি যুক্তরাজ্যের প্রায় সকল শহরে ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হয়ে সাধারণ মানুষকে ইসলামের সঠিক শিক্ষা দিয়েছেন। কোরআন, হাদীস ও মাছলা মাছাইল নিজ হাতে লিখে বিলেতে ইসলাম প্রচার করেন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT