লোহাগড়ার ঝিকড়া গ্রামে মাহির বিক্রসের কালো ধোঁয়ায় ২০ একর জমির বোরোধানের ক্ষতি
ইকবাল হাসান,নড়াইল রবিবার রাত ০৯:১৬, ২৪ এপ্রিল, ২০২২
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ঝিকড়া গ্রামে মাহির ব্রিক্স (ইটভাটার) এর কালো ধোঁয়ার প্রভাবে পার্শ্ববর্তী প্রায় ২০ একর জমির বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে লোহাগড়ার লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে লক্ষীপাশা ইউপির ঝিকড়া গ্রামের সাবেক মেম্বর ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক মোঃ রবিউল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঝিকড়া গ্রামে শেখ ফেরদৌস এর মালিকানাধীন মাহির ব্রিক্স এর গ্যাসীয় চিমনি থেকে বের হওয়া কালো গরম ধোঁয়ার তাপের কারনে পাশ্ববর্তী প্রায় ২০ একর জমির বোরোধানের ক্ষতিসাধন হয়েছে। এতে করে আমাদের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন নিয়ে বোরোধান চাষ করেছি। এখন শেষ মুহুর্তে এসে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, আমাদের লোনের টাকা পরিশোধ করার কোন উপায় নাই। লক্ষীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেছি এবং আমাদের ধানের ক্ষতিসাধনের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে লক্ষীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নুর মোহাম্মদ বলেন, মাহির ব্রিক্সের কালো ধোঁয়ায় ধানের ক্ষতি হয়েছে এটা সত্য। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের জন্য সুপারিশ জানিয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রইচ উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে গত ১৯ এপ্রিল ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকায় গিয়েছিলাম। তবে পোকা-মাকড়ে ধানের ক্ষতি হয়নি, গরম ধোঁয়ার(তাপের) কারনে ধানের ক্ষতি হয়েছে।
অভিযুক্ত মাহির ব্রিক্ষের মালিক শেখ ফেরদৌসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলী আজগর আলী এ বিষয়ে বলেন, কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক,পরিবেশ অধিদপ্তর অথবা বেলা নামক সংগঠন বরাবর আবেদন করলে ভাল হয়। তবে ধৈর্য ধরুন, আমি কৃষি অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত করে কি করা যায় দেখছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক আমিরুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, হাবিবার শেখ, আমির খাঁন বিধান রায়, রেজাউল করিমসহ ৩০-৩৫ জন ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক।