ঢাকা (রাত ৪:০২) শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News গৌরীপুরে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বর্ণিল বিদায় সংবর্ধনা Meghna News স্বামীর মধুময় স্মৃতি রোমন্থনে দিন কাটছে স্ত্রী মারজিনার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান সানাউল্লাহ হলেন নির্বাচন কমিশনার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার, আটক-১ Meghna News নাগরপুরে যদুনাথ স. প্রা. বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত Meghna News দ্রুত সুমনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানাল পরিবার Meghna News সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেটের সম্পাদক গরম পানিতে ঝলসে গুরুতর আহত Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাস জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে নিহত একজন Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর আদিবাসী শিশুর মরদেহ উদ্ধার Meghna News মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় যুবক নিহত

ঘর থাকলেও নেই বই, নাম সর্বস্ব পাঠাগারে আসেনা কেউই

এস এম সাখাওয়াত এস এম সাখাওয়াত Clock মঙ্গলবার বিকেল ০৫:১৩, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শুধু নামেই “পাবলিক লাইব্রেরী”। ঘর থাকলেও এখানে নেই কোন বই। এমনকি জাতীয় তো দূরের কথা স্থানীয় কোন পত্রিকাও নেয়া হয়না এখানে। আর তাই চার দেয়াল ও ছাদের সম্বন্বয়ে একটি পাকা ঘর থাকলেও বই-পত্রিকার অভাবে এখানে আসেনা কেউই। এমনই এক সাধারন পাঠাগারের সন্ধান পাওয়া গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নে। ৩ বছর আগে ৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে স্থানীয়দের জন্য পাঠাগারের একটি পাকা ঘর নির্মাণ করা হলেও পড়ার জন্য বরাদ্দ হয়নি কোন বই কিংবা পত্রিকা। ফলে পাঠাগারের জন্য নির্মিত ঘরটি ফাঁকা পড়ে আছে বছরের পর বছর। আর পাঠাগারটিতে বই না থাকায় নির্মাণের পর থেকে নিয়মিত খোলাও হয়না।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর অবৈধ স্থাপনার দখলে ছিল সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুর মোড়ের কিছু অংশ। পরে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে ‘পাবলিক লাইব্রেরী’ নির্মাণের উদ্দ্যোগ নেন। এতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় পাঠাগারের জন্য ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৩৭ টাকা। বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে ইট-বালু-সিমেন্ট-রং ক্রয়, পলেস্তার করে দরজা-জানালার সম্বন্বয়ে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করা হলেও, ক্রয় করা হয়নি কোন বই। তারপরও আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসজাদুর রহমান মান্নু।

 

স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, পাঠাগারের নামে উদ্বোনকৃত পাকা ঘরটি দীর্ঘদিন ধরে অযন্ত অবহেলায় পড়ে আছে। বিগত সরকারের তরফ থেকে ঘরটি নির্মাণ করা হলেও এখানে কোন বই নেই। যার কারণে নিয়মিত খোলা হয়না ঘরটি। বিগত বছরগুরোতে বেশ কয়েকবার শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়ে ঘরের তালা খুললেও পড়ার জন্য তাদের সাথে আনতে হয়ছে বই। আর তাই পাঠাগারটিতে বই রাখা হলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়তে আসবে বরে মনে করেন স্থানীয়রা। এছাড়া দৈনিক পত্রিকাগুলো এখানে রাখা হলে অনেকেই আসবে খবরা খবর জানতে। কিন্তু এসবের কিছুই নেই এখানে।

 

নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. মাহিনুর রহমান মাহিন বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পাঠাগারটির ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু এখানে কোনো বই নেই। যার কারণে পাঠাগারটি নিয়মিত খোলা হয় না। পাঠাগারটি এখন ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। বই জোগানের পাশাপাশি পাঠাগারটি নিয়মিত খোলার জন্য একজন লোক প্রয়োজন। যাতে করে নিয়মিত পাঠাগারটি খোলা হয়। এতে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা এখানে পড়া লেখা করতে পারবেন। আর যুবক ও বয়স্করা অবসর সময়ে এখানে এসে বইয়ের পাশাপাশি পত্রিকা পড়তে পারবেন।

 

আসাদুজ্জামান নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, পাঠাগারের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু নির্মাণের কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও এখানে কোনো প্রকারের বই নাই। এ কারণে নিয়মিত খোলাও হয় না ঘরটা। যদিও স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে মাঝে-মধ্যে ঘরটি খোলেন। আর এভাবে ঘর খোলা না হলে আলো বাতাসের অভাবে ঘরের ভেতর নষ্ট হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রা একটি ভালো জিনিসি হারাবে। এ বিষয়টিতে নজর দেয়া প্রয়োজন কর্তৃপক্ষের।

 

এ বিষয়ে পাঠাগার নির্মাণ কমিটির সভাপতি ও গোবরতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ইউসুফ আলী বলেন, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পাবলিক লাইব্রেরী নির্মাণ করা হয়। ঘরটি নির্মাণের জন্য ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও বই কেনার জন্য কোনো বরাদ্দ ছিলো না। তারপরেও বাড়িতে আমার ব্যক্তিগত কিছু বই ছিলো সেগুলো এখানে রেখেছি পড়ার জন্য। পাঠাগারের ঘরটি খোলার জন্য লোকবল দরকার, সেটিও নেই। ফলে পাঠাগারটি নিয়মিত খোলা হয় না।

 

তবে গোবরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম টিপু বলেন, পাঠাগারটি যে একেবারে বন্ধ থাকে তা কিন্তু নয়, মাঝে-মধ্যে খোলা হয়। এখানে বই থাকলে মানুষজন পড়তে আসত। বই নাই, পাঠাগারটি খোলার জন্য লোক নাই। এসব জোগান দেয়া গেলে পাঠাগারটি নিয়মিত খোলা যেতো।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছমিনা খাতুন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নেই। তবে পাঠাগার থাকলে সেখানে বই থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কি কারণে এতো বছরেও সেখানে বইয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে শিগগিরই সেখানে বইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে সেখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে। তবে পাঠাগারে বই দেয়ার ব্যাপারে স্থানীয়রাও আগ্রহী হবেন বলে তিনি মনে করেন।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT