চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষি পণ্য ছাড়াই চললো স্পেশাল ট্রেন
এস এম সাখাওয়াত শনিবার দুপুর ০১:৩৮, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কোনো প্রকার কৃষি পণ্য ছাড়াই ছেড়ে গেছে সব্জি পরিবহনের স্পেশাল ট্রেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টায় জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তবে এই ট্রেনে কোনো চাষি বা কৃষক তাদের সব্জি পরিবহন করেননি। ফলে প্রথম যাত্রায় কোন প্রকার সব্জি পণ্য ছাড়াই ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে রহনপুর স্টেশন এলাকার একজন চাষী আব্দুল নাহিদ বলেন, সড়ক পথে ট্রাকে করে মালামাল পরিবহনে যেখানে কেজি প্রতি ২ থেকে আড়াই টাকা খরচ হয় সেখানে স্পেশাল সব্জি ট্রেনে খরচ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে কেজি প্রতি প্রায় সাড়ে ৩ টাকা। কারণ ট্রেনে পরিবহন করতে ভাড়ার পাশাপাশি ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন, স্টেশন থেকে মোকামের আলাদা পরিবহন ও কুলির খরচে এই ভাড়া বেশি পড়ছে। এছাড়াও ছোট ছোট পিকআপেও জেলা থেকে ঢাকার মোকামে সব্জি পরিবহণে খরচ কম পড়ে।
সবুর নামে একজন কৃষক জানান, আমরা সারাদিন মাঠে কাজ করে বিকালে মাঠ থেকে আমাদের কৃষিজাত পণ্য ট্রাক কিংবা পিকআপে লোড করি। আর এই ট্রাক কিংবা পিকআপ সন্ধ্যার পর আমাদের রহনপুর থেকে ছেড়ে ফজর ওয়াক্তে ঢাকার মোকামে পৌঁছে। আর তখনই বিক্রি হয়ে যায় কাঁচা মাল সব্জি। এতে আমাদের কোন বেগ পেতে হয়না। কিন্তু ট্রেনের সময় সকালে হওয়ায় পণ্য বাজারজাত নিয়েও রয়েছে নানা শঙ্কা। আর তাই ট্রেনের সময় সূচী বিকালে কিংবা সন্ধ্যায় হলে আমাদের কৃষকদের জন্য খুব ভালো হবে।
এ বিষয়ে রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মামুন আলি বলেন, শুক্রবার রাতেই পণ্যবাহী স্পেশাল ট্রেনটি রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছে। পরে শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় কোনো প্রকার কৃষিপণ্য ছাড়াই ট্রেনটি রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ট্রেনটি রহনপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে নাচোল, আমনুরা, কাকণহাট, সারদা ও রাজশাহী স্টেশনসহ মোট ১৩টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও স্টেশনে থামবে।
তিনি আরো বলেন, কৃষকদের দাবী বিকেল ৫টার পর ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে গেলে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বুকিং করতে পারবেন। বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মূলত আবহাওয়া খারাপের কারণে আজকের ট্রেনে কোন প্রকার মালামাল বুকিং হয়নি।
প্রসঙ্গত; সব্জি স্পেশাল ট্রেনে ১টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাগেজসহ মোট ৫টি লাগেজ আছে যাতে কৃষক ও উদ্দ্যেক্তারা তাদের কৃষিজাত পণ্য কেজি প্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা খরচে পরিবহন করতে পারবেন।