সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার বিকেল ০৪:০৯, ৫ জুন, ২০২২
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৪১ জন নিহত ও ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
রবিবার (৫ জুন) বেলা ২টা পর্যন্ত মোট ৪১ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেলের মার্গে এসেছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।
দুপুর ১টার দিকে আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। সকাল ৯টার পর যে লাশগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো চেনার উপায় নেই। পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা লাগতে পারে।
নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত বাঁশাখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের মনিরুজ্জামান (৩২), একই উপজেলার চারিয়ার নাপুরা এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২২), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬) ও রবিউল আলম (১৯), মমিনুল হক (২৪), তোফায়ল আহমেদ (২২), আলাউদ্দিন (৩৫) মো. সুমন (২৮) মো ইব্রাহিম (২৭) মো. শাকিল (২২), নিপন চাকমা (৪৫) রানা মিয়া (২২) এবং আফজাল হোসেন (২০)।
আলাউদ্দিন তালুকদার আরও বলেন, “১০০ জনের বেশি আহতকে ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে করে চমেকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিএমএইচ, বেসরকারি হাসপাতাল পার্ক ভিউ, ন্যাশনাল হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটনসহ বিভিন্ন হাসপাতালেও অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, “কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কন্টেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারনা করছি।”
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই ডিপো যারা পরিচালনা করছেন, তাদেরকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। তারা ফায়ার ব্রিগেডকে গাইড করতে পারবে। কোথায় কোন কন্টেইনার আছে জানাতে পারবে। তাহলেই আগুন নেভানো সম্ভব। তাদের আহ্বান করছি তারা যেন দ্রুত এখানে আসে।”
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাঈনুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা ও ফেনীর ২৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানিও অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখানে কয়েকটা ড্রামের মধ্যে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড লেখা দেখতে পেয়েছি। সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল এসেছেন। মালিকপক্ষের কাউকে আমরা পাইনি। কোথায় কোন পণ্যের কন্টেইনার রেখেছেন তা তো আমরা জানি না।”