চাঁপাইনবাবগঞ্জ পরিদর্শন করলেন নেপালী রাষ্ট্রদূত
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোমবার রাত ১১:২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলরুট ত্রিদেশীয় (বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল) বানিজ্যের দ্বার উন্মোচিত করেছে। রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাবে যাত্রীবাহী ট্রেন। আর ভারতের ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের পর এবার চালু হবে এই যাত্রীবাহী ট্রেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন হয়ে ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলপথ দিয়ে নেপালের সীমান্তবর্তী স্টেশন বীরগঞ্জ যাবে এই ট্রেন।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন পরিদর্শণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ড. বংশধর মিশ্র এসব কথা বলেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন থেকে নৌপথে ইউরিয়া ও ডিএপি সার আমদানি করে নেপাল। বর্তমানে এসব সার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথ ব্যবহার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশন দিয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে নেপালে পরিবহন করা হচ্ছে। এতে দূরত্ব কমার পাশাপাশি খরচ অনেক কমে আসছে। নেপাল সরকার মনে করে এভাবে পণ্য পরিবহন করা গেলে যাত্রীও পরিবহন করা সম্ভব। ফলে ত্রিদেশীয় রেল ব্যবস্থায় বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেলপথে সার পরিবহনের পাশাপাশি পোশাক, কৃষিজাত বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়াতে কাজ করছে দুই দেশ।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নকশীকাঁথা, আম, কাঁসা, রেশমের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী নেপাল। এছাড়াও নেপালের পর্যটন ও অবকাঠামোখাতে বিনিয়োগে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে কাজ করছে সে দেশের সরকার।
৪ বারের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য নেপালের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ড. বংশধর মিশ্র আরো জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী স্টেশন সিঙ্গাবাদের দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। এরপরই ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে ২১৭ কিলোমিটার পরেই নেপালের বীরগঞ্জ স্টেশন। ভারত তাদের রেলপথ ব্যবহারে সম্মতি দেয়ায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো আলোর মুখ দেখছে বাংলাদেশ-নেপাল বৈদেশিক বাণিজ্য। আগে থেকেই ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু থাকায় দেখা দিয়েছে ত্রিদেশীয় বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে তিনি সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে রহনপুর রেলবন্দরে এসে পৌঁছান। পরে রহনপুর রেলস্টেশন ছাড়াও গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের শিবরামপুরের বাংলাদেশ-ভারত রেললাইন সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে নেপালের প্রবেশপথ ও রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেল রুটের জিরো পয়েন্ট শিবরামপুর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন দূতাবাসের সচিব রঞ্জন যাদব রিয়া শেঠি।