স্বামী সন্তানকে ফিরে পেতে দুই পরিবারের আকুতি
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ শনিবার রাত ১১:৫৯, ১২ মার্চ, ২০২২
মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে দুই পরিবারের সংবাদ সম্মেলন হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া চাকলা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও চাকলা বীরপাড়া গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে জাকারিয়া হোসেন জাক্কারের পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে দুই পরিবারের সদস্যরা স্বামী-সন্তানকে ফিরে পেতে আকুতি জানান। বক্তব্য রাখেন, আটক শরিফুল ইসলামের বাবা মোখলেসুর রহমান, স্ত্রী সুমি বেগম, জাকারিয়া হোসেন জাক্কারের স্ত্রী সুমিয়ারা বেগম, ছেলে মো. ইয়াহিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কোন রকম সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা স্বত্বেও শরিফুল ইসলাম, জাকারিয়া হোসেন জাক্কার ও চাকলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আতাউর রহমান আহসানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শরিফুলকে ৮ দিন, জাক্কারকে ৩৩ দিন ও আহসানকে ৭ দিন পর নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন অভিযোগ এনে গণমাধ্যমের সামনে তাদেরকে নিয়ে আসে র্যাব।
তারা আরও বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে বিরোধের জের ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চড়কতলা জামে মসজিদের সামনে থেকে শরিফুলকে, ২৪ জানুয়ারী শিবগঞ্জের বারিক বাজার এলাকা থেকে বেলা ১১টায় জাক্কারকে ও ১৮ ফেব্রুয়ারী শিবগঞ্জের এখলাসপুর জামে মসজিদের পাশ থেকে সকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করা হয়।
আটক শরিফুল ইসলামের বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, নিখোঁজের পর তিন পরিবারের লোকজনই নিখোঁজ হওয়া নিয়ে শিবগঞ্জ থানায় জিডি করেন। পরে তাদের তিনজনকেই ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী রাজশাহীর পুঠিয়ায় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল এমন অভিযোগে আটক দেখানো হয়। তিনজনকে একসাথে আটক দেখানো হলেও পরে ২০১৯ সালের ৪ মার্চ জামিন পায় আতাউর রহমান আহসান। তাহলে বাকি দুইজন কেন জামিন পাবে না?
জাকারিয়া হোসেন জাক্কারের স্ত্রী সুমিয়ারা বেগম বলেন, এখন আটক থাকা দুইজনই খেটে-খাওয়া অসহায় দরিদ্র মানুষ। ২০১৮ সালে আটকের পর দুই পরিবারের স্ত্রী সন্তানরা অসহায়, অভাব, অনটনে দিন পার করছে। তাই বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে মুক্তির দাবি আমাদের।