সাপাহারে সফল উদ্যোক্তার রপ্তানি যোগ্য আম্রপালি আম গেল ইংল্যান্ডে
গোলাপ খন্দকার,সাপাহার,নওগাঁ শনিবার দুপুর ০২:৫৭, ১৯ জুন, ২০২১
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সফল উদ্যোক্তা সোহেল রানার আম্রপালি আম ইংল্যান্ডে রপ্তানি করা হয়েছে।যা এলাকায় আম চাষে অধিক আগ্রহ বাড়াতে কৃষকের মাঝে। সাপাহার উপজেলা থেকে আম্রপালি জাতের আম বিদেশে রপ্তানি করার বিষয়টি যেন এক স্বপ্নের মতো হলেও সত্য ১৭ জুন আম্রপালির প্রথম চালান (প্রায় এক টন) বহনকারী বিমান ইংল্যান্ডের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছে।
জানা যায়, জেলার বরেন্দ্র এলাকার সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর ও পত্নীতলার আংশিক এলাকা আম্রপালির জন্য বিখ্যাত। এ জাতের আমগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হয়।
উপজেলার ‘বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক’ এর মালিক সোহেল রানা তার নিজস্ব বাগান থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিদেশে আমগুলো রপ্তানি করেন।নওগাঁর পত্নীতলার দিবর ইউনিয়নের রূপগ্রাম গ্রামের কৃষক আজিজার রহমানের ছেলে সোহেল রানা। তিনি নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। ২০১৫ সালে নিজ গ্রামের খাড়িপাড়া এলাকায় পৈতৃক ১২ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সমন্বিত কৃষি খামার। নাম দেন ‘রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্ম’। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মেধা ও পরিশ্রমে তিনি এখন ১৪০ বিঘা জমিতে পৃথক দুটি সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। তার এ খামার এখন এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের অনুপ্রেরণা উৎস হিসেবে কাজ করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাপাহার গোডাউন পাড়ায় আড়াই বছর বয়সী প্রায় দেড় হাজার আম্রপালি গাছ রয়েছে। এ বাগান থেকে এ বছর প্রায় ৪০ টনের মতো আম পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। গাছের বয়স কম হওয়ায় আমগুলো জলদি পাকবে। কারণ গাছের বয়স বেশি হলে আম পাকতে দেরি হয়।
সফল উদ্যোক্তা সোহেল রানা জানান, বিদেশে আম রপ্তানির জন্য আমগুলোর বিশেষ পরিচর্যা করা হয়েছে। চাষের সময় সুষম ও জৈব সার, নিয়মিত কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশকের ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। যাতে আমগুলো রোগবালাই মুক্ত থাকে। তবে আম পাড়ার ১৫ দিন আগে গাছে সব ধরনের স্প্রে বন্ধ করতে হয়। এতে কীটনাশকের কেমিক্যাল মানুষের শরীরে আর কোনো ক্ষতি করতে পারে না।
সাধারণ চাষিরা কয়েকদিন আগে কীটনাশক স্প্রে করে বাজারে নিয়ে যান আম। কিন্তু বিদেশে যেসব আম রপ্তানি করা হবে সেগুলো ঢাকায় যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর সব ঠিক থাকলে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় বলে জানান সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ‘বুধবার (১৬ জুন) হারভেস্ট করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্যাকেজিং করা হয় বাগানের আমগুলো।এরপর রাতে পিকআপে ঢাকায় পাঠানো হয় এ আম্রপালি আম।বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সারাদিন রপ্তানির যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে সন্ধ্যায় বিমানে আমের চালান ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেছে।