সাঘাটায় এবার বন্যায় কৃষিতে ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি
আসাদ খন্দকার বৃহস্পতিবার রাত ১০:২৮, ১ আগস্ট, ২০২৪
গাইবান্ধার সাঘাটায় বন্যায় কৃষিতে ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাঠের পর মাঠ জমিতে নষ্ট ক্ষেত পড়ে আছে। সরকারিভাবে পুনর্বাসন করা হলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দু’দফা বন্যায় ৫ শত ৩৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে আউশ ২ শত ৩৬ হেক্টর, শাকসবজি ৮০ হেক্টর,পাট ১ শত ৮১ হেক্টর, ভুট্রা ১৩ হেক্টর ও বীজতলা ২৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। এতে উপজেলায় অন্তত ৯ হাজার কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাট আর ভূট্রা চাষ করে প্রতিবারই লাভের মুখ দেখেন কৃষকরা। বিগত দিনের মতো এবারও লাভের আশা ছিল তাদের। তাই প্রায় সব জমিতে পাট লাগিয়েছিলেন তারা। ক্ষেতে ক্ষেতে পাটগাছ কেবল একবুক ও মাথা সমান হয়েছে, কোন কোনো ক্ষেতের পাটগাছ পরিপক্ব হয়েছে মাত্র, আর কয়েকটা দিন পরেই কেটে জাগ (পঁচানো) দেওয়ার কথা। এমন সময় আসে বন্যা। সেই বন্যার পানির নিচে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে সমস্ত ক্ষেতের পাটগাছ।
জানা যায়, যমুনা তীরবর্তী ও নদী বেষ্টিত উপজেলার চরাঞ্চল কাঠুর, নলছিয়া, গুয়াবাড়ী,পাতিলবাড়ী, গাড়ামাড়া,হলদিয়া,হাটবাড়ী,সাথালিয়া,গোবিন্দী,গোবিন্দপুর,বাঁশহাটা,বুগারপটল,হাসিলকান্দি,চিনিরপটল,খামারপবনতাইড়, দীঘলকান্দি, এলাকায় পাট,ভুট্রা, আউশ,তিল ও শাকসবজীর আবাদ বেশি করা হয়। প্রতিবছর বন্যার আগেই ফসল ঘরে তোলে কৃষকরা। কিন্তু এবার বন্যা একটু আগেই আসায় তলিয়ে নষ্ঠ হয়ে যায় কৃষকের উঠতি ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত পাট ক্ষেতে গেলে এলাকার কৃষকরা জানান, পাট আবাদের পাশাপাশি করলা, মরিচ, লাউ, পটোল, তিল, কুমড়া, শশাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদও নষ্ট হয়ে গেছে । এতে আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এ বন্যায় ।
সরকার কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করলে ক্ষতি কাটিয়ে ঘুড়ে দাঁড়ানো সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান জানান, সরকারী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার ব্যাপারে এখনো কোনো বরাদ্দ আসেনি। তবে কৃষিতে ক্ষতির পরিমান নিরূপন করে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।