ঢাকা (রাত ১১:৩৬) মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

সাপাহারে নিজের গাছ নিজে কেটে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ

<script>” title=”<script>


<script>

নওগাঁর সাপাহারে ৩০ জুলাই পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাতাহার গ্রামের নাজিমুদ্দীন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী, ভাবুক কাজিপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ২০টি আমগাছ
উপরে ফেলে মোজাম্মেল হককে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা লুটপাট ও মারপিট করে এ বিষয়ে নাজিমুদ্দীন সহ কয়েক জনের নামে মামলা দায়ের হয়। আবার ২ আগস্ট নাজিমুদ্দীনের লোকজন এ বিষয়টি হালকা করতে নিজের আম গাছ নিজেরা কেটে নাটক করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানাগেছে, উপজেলার ভাবুক কাজি পাড়া গ্রামে মোজাম্মেল হক ভাবুক মৌজার জেএল নং ১২ দাগ নং ২৪৯ খতিয়ান নং ২০৯ ১ নম্বর দাগে ১৬ শতাংশের কাতে ১০ শতাংশ জমি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ দখলে করে আসতেছে এবং উক্ত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকারের খাস সম্পত্তি থাকাকালীন বন্দোবস্ত করিয়া ভূমিহীন প্রজা হিসেবে স্থানীয় ভূমি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২০১৪ মোজাম্মেল হকের বরাবর ভোগদখলের অনুমতি হয়।

উক্ত সম্পত্তি তার পূর্বপুরুষগণ হইতে অদ্যবদি ভোগদখল করে আসতেছে । তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসতেছিল গত ৩০/০৭/২০২০ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় ছাতাহার গ্রামের পমির উদ্দীনের ছেলে নাজিমুদ্দীন ৮/১০ জন নিয়ে লোক মোজাম্মেল হকের জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে দখলের চেষ্টা চালায় নাজিমুদ্দীন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসময় মোজাম্মেল হক বাধা দিতে গেলে তারা মোজাম্মেল হকের পিছু ধাওয়া করে বসতবাড়িতে হামলা চালায় এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা রড দিয়ে মাথাতে আঘাত করে, মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং স্ত্রী ও বোনকে বেধড়ক মারপিট করে, বাড়িতে লুটপাট চালায়। গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে ভর্তি করান মোজাম্মেল হকের মাথায় ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে। এবং এ বিষয়ে মোজাম্মেল হকের স্ত্রী বাদি হয়ে নাজিমুদ্দীন ও তার সাথে থাকা ৫/৬জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এলাকাবাসী জানান, মামলা থেকে বাঁচতে ও মামলা নরমাল করতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নামিমুদ্দীন তার নিজের ১৪ শতাংশ জমিতে লাগানো গাছ নিজে কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নাজিমুদ্দীন দাবী করে বলেন ১ আগস্ট রাতের বেলা তার ১৪ শতাংশ জমিতে ১৪০ টি আম গাছ ছিল যা মোজাম্মেল হকের লোকজন কেটে ফেলেছে। তবে এলাকাবাসী বিষয়টি হাস্যকর মনে করতেছে ১৪ শতাংশ জমিতে ১৪০টি গাছ ছিল এ কথা শুনে।

পাশের গ্রাম হাসপুকুর গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, আমি ২ আগস্ট সকালে সাইকেল নিয়ে পার হয়ে যাওয়ার সময় দেখি আম গাছ গুলো ছিলো, আবার বিকেলে এসে দেখি কাটা অবস্থায় পড়ে আছে।

এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই নিউটন জানান, কয়েকদিন আগে নাজিমুদ্দীন সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার গ্রহন করা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT