ঢাকা (ভোর ৫:১২) শুক্রবার, ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

সান্তাহার মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রে গ্রীন হাউজের মাধ্যমে ব্রুড ও রেণু উৎপাদন

কৃষি সংবাদ ২৬০২ বার পঠিত

মোঃ কামরুজ্জামান মোঃ কামরুজ্জামান Clock শনিবার দুপুর ০১:৪৩, ২৭ জুন, ২০২০

মিরু হাসান বাপ্পী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সান্তাহার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা চার বছর যাবত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে গ্রীন হাউজের মাধ্যমে থাই পাঙ্গাসের আগাম ব্রুড  তৈরী এবং কৃত্রিম প্রজননে রেণু উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। এখন প্রতি বছর এর ব্যাপক সফলতা আসছে বলে জানিয়েছেন এই প্লবন ভুমি উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কেন্দ্রে প্রধান ড. ডেভিট রিন্ট দাস। বাংলাদেশে থাই পাঙ্গাস একটি জনপ্রিয় ও ব্যাপকভাবে চাষকৃত মাছের প্রজাতি। চাষের জন্য বিদেশ থেকে আনার পর বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম এই মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করা হয়। বানিজ্যিকভাবে অধিক উৎপাদনশীল এ মাছের জাতটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহজ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপকভাবে চাষ করা হচ্ছে। থাই পাঙ্গাস মেকং নদীর ক্যাটফিস গোত্রভুক্ত একটি মাছ। নব্বই এর দশকে থাইল্যান্ড থেকে আনা পাঙ্গাসিয়াস সূচির কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ব্যাপক পোনা উৎপাদন করে পুকুরে চাষ করা হয়। বর্তমানে দেশব্যাপী প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জলাশয়ে একক প্রজাতি হিসেবে পাঙ্গাসের মোট উৎপাদন ৩.১৭ লক্ষ মেঃ টন, যেটি অভ্যন্তরীন মৎস্য উৎপাদনের ১২.৫৭%। এলাকার মৎস্য চাষী ও খামারীরা পুকুরে মজুদের জন্য মে মাসের শেষের দিকে এই মাছের পোনা হ্যাচারী মালিকের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। দেরিতে পোনা পাওয়ায় একদিকে চাষীরা চাষের জন্য বেশি সময় না পাওয়ায় তারা লাভবান হতে পারেনা। এতে বিক্রয় উপযোগী মাছ তৈরী করার জন্য পাঙ্গাস চাষের জন্য যথেষ্ট সময় পাবে চাষীরা। এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে এবং দেশে এ মাছের উৎপদন বেরে যাবে ফলে দেশে মাছের পুরোপুরি চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT