সরকারী বাসভবনে ঢুকে ইউএনও কে কুপিয়ে জখম
ইবাদুর রহমান জাকির বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:০০, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে (৩৫) রাতে ঘরে ঢুকে যে ব্যক্তি কুপিয়েছে তার মুখ ঢাকা ছিল বলে জানিয়েছেন তার বাবা ওমর আলী, যিনি নিজেও ঘটনার শিকার।
আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউএনওর বাবা ওমর আলী রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার রাতের বর্ণনা দিয়ে মেঘনা নিউজকে তিনি বলেন, ‘বুধবার রাত দুইটার দিকে আমার মেয়ের রুমে হঠাৎ করে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই।
আমি বিছানা থেকে উঠে আমার মেয়ের রুমের দিকে যেতেই কালো কাপড়ে মুখ-চোখ ঢাকা একজন সন্ত্রাসী আমাকেও কোপাতে থাকে। আমি আঘাত সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে ভর্তি।’
ওমর আলী বলেন, ‘আমাদের কারও সঙ্গে শক্রতা নেই। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা সেটাও জানি না।’
পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কোপানোর পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাসায় কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে বাবা ও মেয়েকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে অবস্থার অবনতি দেখা দিলে সেখান থেকে ইউএনওকে রংপুর ডক্টর’স ক্লিনিকের আইসিউতে ভর্তি করানো হয়। আর বাবা ওমর আলীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় এই ঘটনার কারণ জানতে দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেনসহ র্যাবের কর্মকর্তারা সিসিটিভির ফুটেজসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছেন।
তবে কি কারণে ইউএন্ও’র উপর এমন বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে তা এখন পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে কি কারণে ইউএনও ও তার বাবাকে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’