চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
এস এম সাখাওয়াত বুধবার বেলা ১২:৩৫, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুল ছাত্র তাজেমুল হক হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তদ্বয়ের মধ্যে রুবেল আদালতে হাজির থাকলেও অপর দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হযরত পলাতক আছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার নাচোল উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রুবেল হোসেন ওরফে আবীর এবং নিয়ামুল হকের ছেলে হযরত আলী।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রবিউল ইসলাম জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি অটো রিকশা চালাতেন শিক্ষার্থী তাজেমুল হক। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আসামীরা ধান নিয়ে আসার কথা বলে তাজেমুলের অটো রিকশা ভাড়া নেন। এরপর অটো রিকশা নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নাচোল উপজেলার চিনিসল্লা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার গলায় গামছা ও রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে ইট নিয়ে মুখ থেতলে তার চেহারা নষ্ট করার চেষ্টা করে। এরপরেও ক্ষান্ত না হয়ে সম্পূর্ণ পরিচয় মিটিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে মরদেহ গুম করে ওই নির্মানাধীন ভবনেই বালুচাপা দিয়ে দেয় হত্যাকারীরা।
এদিকে রাত গভীর হয়ে গেলে শিক্ষার্থী তাজেমুল বাড়ি না ফেরাই তার মোবাইল নাম্বারে কল দেয় পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তার মোবাইলে তাকে না পেয়ে খুঁজতে বের হয় স্বজনরা। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাজেমুলের হারানোর
খবর ছড়িয়ে পড়লে পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাজেমুলের অটো রিকশা দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে নির্মাণাধীন ভবনেই বালু সরিয়ে
মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা। পুলিশ ওইদিনই রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তাজেমুলের নানা আব্দুল ওহাব বাদী হয়ে নাচোল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২১ সালের ৩১ মে সোমবার নাচোল থানার এসআই গোলাম রসুল অভিযোগপত্র দাখিল করেন আদালতে। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার একজন আসামীর উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।