শুভ জন্মদিন এম.এ.জি ওসমানী
আরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার রাত ০৯:৪০, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মোহাম্মদ আতাউল গনী ওসমানী, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক, বাংলাদেশের সূর্যসন্তান, সিলেটের গৌরব আতাউল গনী ওসমানী। ১৯১৮ সালের এই দিনে ১লা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৩৯-৪০ সালে তিনি ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে অফিসার হিসাবে যোগ দেন, ১৯৪০ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ৪র্থ আরবান ইনফ্যান্ট্রিতে কমিশন লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি তার সমর নৈপূন্যে দ্রুত পদন্নোতি লাভ করেন। ১৯৪১ সালে টেম্পোরারী ক্যাপ্টেন ও ১৯৪২ সালে মেজর পদবী লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পদবী লাভ করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন দেশ জন্ম লাভ করলে ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং তার কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে কর্মরত ছিলেন।পাকিস্তান মিলিটারী থেকে তিনি রিটায়ার করেছিলেন ১৯৬৭ সালে।
জেনারেল ওসমানী ছিলেন চিরকুমার। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য তিনি অবসর থেকে এসে মুক্তিবাহিনীর দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারে ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। ওসমানীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন। তার সমরজ্ঞান ও নৈপূন্য, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে নয় মাসেই স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এরপর তিনি রাজনীতিতেও যুক্ত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সংসদ সদস্য এবং কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে এম.এ.জি ওসমানী ১৯৭৫ সালের মে মাসে মন্ত্রীসভা ও সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বাংলার এই বীর সন্তান ১৯৮৪ সালের ১৬ই জানুয়ারী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।