মীর এম ইমরান,মাদারীপুর সোমবার রাত ১১:৩৭, ১৭ মে, ২০২১
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিবচরে করোনার কারনে স্থগিত হওয়া এক ইউনিয়নের নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুলাল বেপারীসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে করোনার কারনে স্থগিত হওয়া নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতিকুর রহমান মাদবর ও মনোয়ার হোসেন বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৬ জনকে আসামী করে শিবচর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবিবার দিবাগত ভোররাতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা দুলাল বেপারীসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা এক জায়গায় বসে বেঠক করছিল বলে পুলিশ জানায়।
এর আগে ঘটনার পর ওইদিন রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বেপারীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মাদবর ও সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বেপারীর মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। করোনা সংক্রমনের কারনে স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে ঐ ইউনিয়নে আতিকুর রহমান মাদবর ও মনোয়ার হোসেন বেপারী দুজনেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
শনিবার সন্ধায় ওই ইউনিয়নের আকনকান্দি গ্রামের একটি রাস্তায় আতিক মাদবরের সমর্থক মিরাজ আকন ও মনোয়ার বেপারীর সমর্থক তুষার বেপারীর সাথে ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তুষার বেপারী মিরাজ আকনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে কুতুবপুর বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মনোয়ার বেপারীর সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য আ: সালাম মাদবরকে (৬৫) তার দোকানে ঢুকে আতিক মাদবরের সমর্থকরা কয়েকজন মিলে মারধর করে। এর জের ধরে রাত আনুমানিক ৮ টার দিক সাহেব বাজারে মনোয়ার বেপারীর বাড়ি সংলগ্ন আতিক মাদবরের সমর্থক দুলাল বেপারীর একটি মার্কেটে মনোয়ার বেপারীর ছোট ভাই মানজার বেপারীর নেতৃর্ত্বে ভাংচুর চালানো হয়। এসময় দুলাল বেপারীসহ আতিক মাদবরের সমর্থকরা মার্কেটের সামনে জড়ো হলে তাদেরকে লক্ষ করে মানজার বেপারীর নেতৃর্ত্বে গুলি ছোড়া হয়। এতে মাহবুবুর রহমান (৩৮), এসকান বেপারী (৪০) ,কাউসার বেপারী (৩৭), আ: রাজ্জাক মাদবর (৬৫) ,ওবায়দুল বেপারীসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। আজ সকালে দুলাল বেপারীসহ ৩২ জন এক জায়গায় বসে বৈঠক করছিল। এ সময় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি মামলায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।