লোহাগড়ায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শন করেছেন মাহবুব উল আলম হানিফ
ইকবাল হাসান,নড়াইল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:২০, ২১ জুলাই, ২০২২
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির জের ধরে সহিংসতার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা সেই রামুর ঘটনা থেকে দেখি, নাসিরনগর ঘটনা থেকেও দেখি; সকল ঘটনার সাথে একটি যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। এসব ঘটনা পরিকল্পিত।
এ ঘটনার উদ্দ্যেশ্য একটাই-আমাদের সমাজে সাম্প্রদায়িক বীজ বপন করা, সরকারকে বিব্রত করা। দেশের জনগণকে অস্থিতিশীল করা। নড়াইলের দিঘলিয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্বস্ত করেছি, মাননী প্রধানমন্ত্রী ঘটনা শোনার পরই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা চাই এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য অপরাধীদের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সহসভাপতি সিকদার আজাদ রহমান, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল বাশার ডলার, লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি স.ম ওহিদুর রহমান, দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার ৫টি বাড়ি ও দিঘলিয়া বাজারের ৬টি দোকান ভাংচুর করেন। এছাড়াও সাহাপাড়ার গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুর ও মহাশ্মশান কালিবাড়ি মন্দির সামান্য ক্ষতি করে বিক্ষুদ্ধরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।