ঢাকা (ভোর ৫:৪৫) সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লেখা কেনো শক্তি

এইচএম দিদার এইচএম দিদার Clock মঙ্গলবার রাত ০১:২৭, ২০ এপ্রিল, ২০২১

আবেগ তাড়িত হয়ে কলমের ঘূর্ণির যাদুতে আমরা সাদা কাগজ হালের আমলে কম্পিউটার কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বা গণামাধ্যম যে ভাব প্রকাশ করি তাকেই লেখা বলি।

লেখা এক ধরনের অনস্পর্শীয় শক্তি।লেখা মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। লেখা মানুষকে আলোর পথ দেখায়। লেখা মানুষ অধিকার রক্ষায় নিয়ামক ভূমিকা রাখে। লেখা দুর্নীতিবাজদের বুকে কাঁপন ধরায়।

লেখা মানুষকে সত্যিই মুক্তি দেয়:কালের রাহুরদশা থেকে।

তবে এর বিনিময়ে যিনি লেখক তিনি লেখার কারণে লাল দালানের প্রকোষ্ঠে নিশিদিন নিশিরাতও কাটিয়েছেন এমন নজির বিশ্বজুড়ে।

লেখকরা সমাজ ও দেশের কাছে ঋণী।তারা এক ধরনের অপরিশোধযোগ্য ঋণে বন্দী হয়েই জাতির কল্যাণে, জাতির মুক্তির জন্য লিখে যান।

অথচ লেখা প্রকাশের পর লেখকের উপর হাজারো বঞ্চনা -লাঞ্চনার পাশাপাশি অত্যাচারের খড়্গ নেমেও আসে।

আর বর্তমান জমানায় আইসিটি আইনের ঝঞ্জাট ও প্রতিকূলতা ছাপিয়ে লিখতে পারাটা খুবই দুঃসাহসীক কাজ।

ভালো লেখকরা যেমন: দেশপ্রিয়, দেশ প্রেমিক লেখকরা সত্য লিখতে কোনো ভয়কেই তোয়াক্কা করেনি কালে।

এমন লেখক আমি নিজেও অনেক দেখেছি। এমন লেখকদের আমি নিজেও সান্নিধ্যলাভ করেছি।

সত্যিকারার্থে ভালো লেখক যেমন ঈমান জাগানিয়া লেখক বা দেশমাতৃকার প্রেমে আবদ্ধ হয়ে যারা লিখে চলছেন বা লিখে গেছেন :তারা সব কিছু ছাপিয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে হয়ে গেছেন অমর কিংবদন্তি।

আপনি কী লেখক? লেখক হলে যদি সত্যি তুলে ধরতে ভরকে যান, ভয় পান তাহলে আপনি লেখক নয়। লেখক মানেই বুকের জমে থাকা নানাহ ভাবনা আপনার বুক থেকে বৃষ্টি বর্ষণের মতো টলটল করে ঝরতে থাকবে।

আমি একজন ক্ষুদ্র লেখক হিসেবে অনেক কালজয়ী লেখকের প্রভাব আমারও পড়েছে।

সেই প্রভাব আমাকে তাড়না দেয় লিখতে।

সেই প্রভাব আমাকে শক্তি সাহস দেয় লিখতে।

লিখতে গিয়ে আমি ভীতসন্ত্রস্ত নই।কিন্তু পরিবেশ প্রতিকূলে সামান্য দিন টিকে থাকা যায়।

প্রতিকূল পরিবেশে বেশি দিন লড়াই করে টিকে থাকা যায় না।

তাই বাধ্য হয়েই মেনে নিতে হয়, মানতে হয়।

 




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT