রাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে বিএনপি পন্থী সভাপতি, আ.লীগ পন্থী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শুক্রবার রাত ০১:২৬, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯
মোঃ ইসমাইল, রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি এবং আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হলুদ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এ বি এম হামিদুল হক।
সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকী ৫০৮ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ প্যানেল থেকে পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান ৪৯০ ভোটে জয়লাভ করেছেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি পদে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার ফরহাদ হোসেন ৪৩৯ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল হক ৪৬৪ ভোট পান।
এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রেজিনা লাজ (৪৯১) ভোট, সহসভাপতি হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক সাইয়েদুজ্জামান (৫২১) ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল (৪৮২) নির্বাচিত হয়েছেন।
সদস্য পদে আওয়ামীপন্থী ৬ জন ও বিএনপিপন্থী ৪ জন নির্বাচিত হয়েছে।
হলুদ প্যানেল থেকে সদস্য পদে ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম মাহমুদুল হক, এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের এ.এম শহীদুল আলম, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শেখ শামসুল আরেফিন নির্বাচিত হয়েছেন।
সাদা প্যানেল থেকে সদস্য পদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম-২, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন-১, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজী বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন, ফিশারিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহা. ইয়ামিন হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এ বি এম হামিদুল হক বলেন, ‘দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রার্থীরাও জয়-পরাজয় মেনে নিয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এক হাজার শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আওয়ামীপন্থী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ প্যানেল) ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রুপ (সাদা প্যানেল) থেকে ১৫টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে ৩০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।