মুক্তি পাচ্ছে না একটি ছবিও
মেঘনা নিউজ ডেস্ক সোমবার রাত ১০:০৭, ৪ মে, ২০২০
দেশের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর আসতে বাকি নেই খুব বেশি। অথচ এবার ঈদে মুক্তির তালিকায় থাকা চারটি ছবিই মুক্তি পাচ্ছে না। এতে সিনেমা হলের মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি।
আগেই জানা যায়, চারটি ছবির মধ্যে তিনটি ছবি মিশন এক্সট্রিম প্রথম পর্ব, শান ও মন দেব মন নেব ছবির প্রযোজক আগেই নিশ্চিত করেছেন, তাঁরা ঈদে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন না। এবার হাতে থাকা একটি ছবি বিদ্রোহীর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হলো, ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না তাদের ছবিটি।
ছবির প্রযোজক ও পরিচালকদের কথায় উঠে আসে করোনাভাইরাস-আতঙ্কে ছবি মুক্তি দেওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ নেই। তাই ঈদে ছবি মুক্তি দেবেন না। আর সিনেমা হলও খুলবে কি না, তারও নিশ্চয়তা নেই।
আর এতে ঈদের জন্য তৈরি বড় বাজেটের ছবিগুলো পরবর্তীকালে মুক্তিতে লোকসানের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রযোজকদের। গত ১৮ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে সাধারণ ছুটিও বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬ মে পর্যন্ত। ঈদ আসতেও আর খুব বেশি দিন নেই। এই অবস্থায় ঈদে ছবি মুক্তি দিতে নারাজ প্রযোজকেরা।
শান ছবির প্রযোজক আজাদ খান বলেন, ‘এই অবস্থায় ঈদে শান মুক্তি দিচ্ছি না। পরিস্থিতি ভালো হওয়ার লক্ষণও নেই। ঈদের আগে পরিস্থিতি ভালো হলেও খুব তাড়াতাড়ি যে মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন, মনে হয় না। সেখানে সিনেমা দেখা পরের কথা।’
মিশন এক্সট্রিম ছবির প্রযোজক ও অন্যতম পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘ছবি মুক্তি দেওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি নেই। ঈদের আর তেমন সময়ও নেই। পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি ভালো হলেও দুয়েক মাস প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখার মনমানসিকতা থাকবে না মানুষের।’
মন দেব মন নেব ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রবিন খান বলেন, ‘যে শ্রেণির মানুষ বেশি বাংলা সিনেমা দেখেন, তাঁরাও এত তাড়াতাড়ি এই ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। আর্থিক সমস্যায় থাকবেন। মোট কথা মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে।’
বিদ্রোহী ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম পরিস্থিতি ভালো হলে ঈদে হলগুলো খোলার পরিবেশ তৈরি হবে। এ জন্য আমাদের ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু পরিবেশ ভালো হওয়ার সুযোগ দেখছি না। সুতরাং ঈদে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি।’
ঈদের জন্য তৈরি করা এই সব ছবির প্রতিটির বাজেট আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। ঈদ উৎসবে মুক্তি দেওয়ার চিন্তা বাদ দেওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন প্রযোজকেরা।
সানী সানোয়ার বলেন, ‘ঈদে ছবিটি থেকে যে ধরনের লাভের আশা করেছিলাম, বছরের অন্য সময়ে মুক্তি দিলে লাভ তো হবেই না, বরং বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হতে পারে। তা ছাড়া এই পরিস্থিতিতে স্পনসর থেকেও টাকা পাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’