ইত্যাদি এবার বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে
মেঘনা নিউজ ডেস্ক রবিবার সকাল ১০:৫৭, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রত্ননিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে খানজাহানের অসংখ্য কীর্তিশোভিত, সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ নগরী বাগেরহাটে।
মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে মোংলা বন্দরে। পশুর নদীর তীরে জাহাজ, নদী এবং বন্দরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে নির্মিত মঞ্চে ধারণ করা হয় ইত্যাদি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রয়েছে বাগেরহাটকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। পরিবেশন করেছেন বাগেরহাটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক নৃত্যশিল্পী। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন রাজীব, অয়ন চাকলাদার, তানজিনা রুমা ও এমেলী। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত আয়োজনে মেহেদী।
এবার সংগীত পরিবেশন করেছেন বাগেরহাটেরই সন্তান কণ্ঠশিল্পী নাসির এবং সানজিদা রিমি। কবির বকুলের কথায় এর সুর ও সংগীত করেছেন কিশোর দাস। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান বাগেরহাটকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৩ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়।
২য় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের জনপ্রিয় লোক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী নিখিল কৃষ্ণ মজুমদার ও তার বেশ ক’জন শিক্ষার্থী। এবারের পর্বে রয়েছে বাগেরহাটের ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। সুন্দরবন, মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন দর্শনীয়, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র ও প্রত্নসম্পদ এবং হজরত খানজাহানের অসংখ্য কীর্তিশোভিত স্থান ও স্থাপনার ওপর প্রতিবেদন।
বাগেরহাটের একদল নারী তাদের ব্যতিক্রমী চিন্তা আর কর্মসৃজনে ফেলনার সামগ্রী কাজে লাগিয়ে নানান উপকরণ তৈরি করার পাশাপাশি এখন তৈরি করছেন বিদেশে রপ্তানিযোগ্য মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি।
তাদের ওপর রয়েছে প্রতিবেদন। বাগেরহাটের ঢাংমারী গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই জীবিকার প্রধান উৎস সুন্দরবন। তবে মাঝে মাঝে বন সুরক্ষায় মাছ, গোলপাতা, মধুসহ বনজ সম্পদ সংগ্রহে বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ক্ষুধার তাড়নায় কেউ কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করে নানান ধরনের বিপদের সম্মুখীন হন, কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ের ওপর রয়েছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের উত্তর দিকে অবস্থিত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ওপর তথ্যবহুল প্রতিবেদন। চিঠিপত্র বিভাগে বাগেরহাটের এক ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোক্তার জীবন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়। এ ছাড়াও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় ও প্রসঙ্গ নিয়ে সামাজিক অসঙ্গতি ও সমাজ সংস্কারের ওপর রয়েছে কিছু তীক্ষ্ণ ও তীর্যক নাট্যাংশ।
ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আগামী ২৯শে নভেম্বর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিক্স লিমিটেড।