ঢাকা (সকাল ৭:০০) বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


ভোরে স্বামীর ঘরে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে ধরা

মোঃ কামরুজ্জামান মোঃ কামরুজ্জামান Clock শুক্রবার রাত ০৯:৫৮, ৮ মে, ২০২০

মো.শাকিল হোসেন শওকত, নাগরপুর, টাঙ্গাইল, প্রতিনিধিঃ স্বামী কাঁচামালের ব্যবসায়ী। তাই তাকে অনেক সকালে বা রাতেই মাল আনতে যেতে হয় আড়তে। এই সময়টায় শাহিদুলের স্ত্রী থাকে পরকিয়া প্রেমিকে নিয়ে গভীর প্রেম মত্ত। এলাকাবাসীর দাবী, এভাবেই চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এরই ধারাবাহিকতায়, গত বৃহস্পতিবার ৭মে  রাত অনুমানিক ৩টা এর সময় উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের মাইলজানি গ্রামের শাহিদুল মাল আনার জন্য চলে যায়, সুযোগ বুঝে একই ইউনিয়নের শীতল সাহার ছেলে দিপন সাহা প্রেমিকা ফাহিমার কাছে ছুটে আসে, কাঁচা মালের ব্যবসায়ীর ঘরে। প্রতিদিনের মত তারা মিলিত হয় গভীর প্রেমে। শত কথা আর খুনসুটির মাঝে কামোত্তেজনায় আলিঙ্গনের চরমপর্যায়ে হাতানাতে ধরে এলাকাবাসী। পরে তাদের বকাঝকা করে কেউ কেউ দিপনকে চর থাপ্পড় মারে এবং দিপনের পিতা শীতল ও ফাহিমার স্বামী কে খবর দেয় তারা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলে, আশেক মেম্বার মোটা অংঙ্কের টাকা খেয়েছে। তাই এমন পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেয়নি মেম্বার। তিনি যে ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন, যেন কিছুই হয়নি। এ বিষয়ে শীতল সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, “সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেম্বার আশেক আলী আমাকে অনেক সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন এই ঘটনা। তার সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রায় ৫০জন লোক আমার ছেলে দিপনকে আর ফাহিমাকে আটকে রেখেছে। এর মধ্যে ঐ জায়গার কয়েকজনের সাথে কথা বলে দিপনকে ১টা থাপ্পড় মেড়ে নিয়ে আসে। মেম্বার বলে আমি সব দেখবো। তুই ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখ। কেউ কিছু জানতো চাইলে তুই আমার কথা বলবি। বলবি, প্যানেল চেয়ারম্যান জানে, ওনিই সব করছে। আমি কিছু জানি না।”  বিষয়টি দিপনের মা স্বীকার করে বলেন, এই সমস্যা আশেক মেম্বার একাই সমাধান করেছে। কিভাবে কত টাকা দিয়ে তা জানি না, এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এই বিষয়েে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বলেন, সকালে প্রায় ৫০ জন লোক দেখি দিপন ও ফাহিমাকে আটকে রেখেছে। দিপন আমার ওয়ার্ডের ছেলে তাই তাকে আমি শাসন করে নিয়ে এসেছি। টাকা লেনদেন এর বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এই ঘটনায় আইনের আশ্রয় কেন নেয়া হল না? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি মেম্বার। ফাহিমার স্বামী শাহিদুল বিরক্তির সুরে স্বীকার করে বলেন, আমার সাথে দিপনের ব্যবসায়ীক লেনদেন ছিল। তাই আমি বাড়িতে না থাকায় সে টাকা ওঠাতে এসে টাকা ওসুল করে গেছে। গ্রামের মাতাবার এটা মিমাংসা করে দিয়েছে। আমাদের অন্যত্র থাকতে বলেছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারনা বলে মোবাইল রেখে দেয়। পরকিয়া প্রেমের ঘটনায় আটক হওয়া দিপন ও ফাহিমার বিচারকদের এবং বিচারে উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন লোকজনের সাথে কথা বল্লে, তাদের নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, শাহিদুলের স্ত্রী ফাহিমা, হাজিরানা মজলিশে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা চায়। তাই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এবং সকলে সিন্ধান্ত নেয়, তাদের অন্যত্র থাকতে। দিপন উপস্থিত ছিলো কি না বিচারে এমন প্রশ্নের উত্তরে মাতাবরা বলেন, ওকে তো অশোক মেম্বারই শাসন করে নিয়ে গেছে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT