ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা,ক্রেতাদের ভীড় জমছে কমদামী কাপড়ের দোকানে
নিজস্ব প্রতিনিধি বুধবার রাত ০৯:৫২, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত কয়েকদিন ধরে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বিকেল হতেই কুয়াশার চাদরে ছেয়ে আসছে গোটা উপজেলা। দিনের বেশিভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কমে যাওয়ায় রাত ও সকাল বেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস মধ্যে থাকছে। দুই-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে।এদিকে কুয়াশায় আচ্ছন্ন ও শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও চরাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ। কুয়াশার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। ফলে দিনের বেলা সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। শীত নিবারণের জন্যনিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে ভূরুঙ্গামারী বাজার ও বাস স্ট্যান্ডে অবস্থিত ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে।নিম্নবিত্ত নারী, পুরুষ ও তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করে তাদের মাঝে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন এইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।বাজারে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন নানা শ্রেণি- পেশার ক্রেতারা। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন গরম পোশাক কিনছেন সবাই। উচ্চ আয়ের লোকেরা বিভিন্ন নামি-দামি মার্কেট থেকে গরম কাপড় কিনতে পারলেও গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা বাজারের ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে বিক্রি করা শীতের কাপড়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূরুঙ্গামারী বাজার ও বাস স্ট্যান্ডে অবস্থিত ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি কছেন ব্যবসায়ীরা। একাধিক বিক্রেতা জানান, এই মার্কেটে খুব কম দামে ক্রেতাদের সামর্থ্য মতো বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় পাওয়া যায়। প্রতি দিনই প্রায় শত শত নিম্নবিত্ত মানুষ শীতের কাপড় কিনতে বেছে নেই এই কম দামের দোকানগুলো। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে।এখানকার বেশিভাগ ব্যবসায়ীরা শুধু শীতের মৌসুমে কাপড় কেনা-বেচা করে থাকেন। বছরের অন্যান্য সময় এখানে দোকান না থাকলেও শীতকে কেন্দ্র করে এখানকার ব্যবসা জমজমাট হয়।
এসময় বিক্রেতারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। একাধিক ক্রেতা জানান, শীত থেকে বাঁচতে এসব মার্কেট থেকে পরিবারের সবার জন্য অনেক
কম দামে ভালো শীতের পোশাক কিনতে পারছেন। যা দিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের শীত নিবারণের ব্যবস্থা করতে পারি।