মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন করলেন এমপি মতিন
সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর, কুড়িগ্রাম মঙ্গলবার সকাল ১০:৪৩, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম এ মতিনের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিলের দাবীতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সচেতন বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন উলিপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উলিপুর বণিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম এ মতিন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু কর্তৃক সচেতন বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত বেআইনি ও সম্মান হানিকর মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রথম অভিযোগ করেছেন “আমি স্বাধীনতা যুদ্ধে কোন ভূমিকা রাখি নাই” কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া। “পরিবারের সদস্যরাও রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন” এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেমূলক। “১৯৭৯ সালে গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ৭নং সদস্য নির্বাচিত হই” এই জঘন্য মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার প্রতিষ্ঠিত এমএ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়ার ডিও লেটার ব্যবহার করেন। মান্নান ভূঁইয়া তাকে বিএনপি পরিবারের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলক মিথ্যা কাগজ সৃষ্টি করে আমার এবং আমার পরিবারের প্রতিষ্ঠিত সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনিষ্ট করছে।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ও ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছায়ের শুনানিতে দুইবার অনুপস্থিত থাকাতে কমিটি তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে উল্লেখ করেন। এই তথ্যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া।
সংসদ সদস্য সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গোলাম হোসেন মন্টু কে ছিল, কোথায় ছিল, তার বয়স কত ছিল আমরা জানি না। প্রকৃত সত্য হলো, তিনি কুড়িগ্রাম-৩ আসনে নৌকার এমপি চান না। দলীয় এমপি হলে তার লুটপাটে কিছুটা অসুবিধা হয়। তিনি বিএনপির আস্থাভাজন ব্যক্তি। দলের নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষুব্ধ ও হতাশ। কোন ইউপি চেয়ারম্যান তার সাথে নাই।
তার আগ্রাসী মনোভাব ও সর্বভুক আচরণের জন্য বিগত ও বর্তমান অর্থ বছরে ৩১ কোটি টাকা ফেরত গিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টুকে তার বক্তব্যর স্বপক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে প্রমাণ উপস্থাপনের দাবী জানিযে তিনি আরও বলেন, প্রমাণ উপস্থাপন না করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা দায়ের করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, আমার বিরুদ্ধে তার আনীত সকল অভিযোগ সঠিক নয়। আমি দীর্ঘ বছর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলীয় নেতাকর্মীরা আমার পাশে ছিলো এবং আছে। তাঁর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের প্রমাণপত্র রয়েছে। আমি সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিনের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।