এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শনিবার সকাল ১০:৪৩, ১৩ মে, ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বহুল আলোচিত অনিবন্ধিত অবৈধ এনজিও মধুমতির ওয়ারেন্টভুক্ত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনারায়নপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানার বড় ভাই মধুমতি এনজিওর সহ-সভাপতি মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নং আসামী আবদুর রাকিব (৪৩), একই এলাকার এন্তাজুল হকের ছেলে মধুমতি এনজিওর প্রচার সম্পাদক মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নং আসামী ওয়ালিদ হাসান (৩০) এবং গোমস্তাপুর উপজেলার কাজী গ্রামের এমরান আলীর ছেলে মধুমতি এনজিওর
এরিয়া ম্যানেজার মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নং আসামী মিজানুর রহমান (৩৬)।
এছাড়াও মধুমতি এনজিওর এমডি মাসুদ রানার মেজো ভাই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নং আসামী মধুমতি গ্রুপের পরিচালক ও ফ্যাক্টরির পার্চেজ ম্যানেজার ফারুক হোসেন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন আদালতে।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিবের সার্বিক ত্বত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় শিবগঞ্জ পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ মধুমতি এনজিওর গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামীদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের এসআই আসগর আলীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মধুমতি এনজিওর সহ-সভাপতি রাকিব ও এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ১১ মে বৃহস্পতিবার এ দুজনকে গ্রেফতার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিয়ে আসে ডিবি পুলিশ।
অপরদিকে গত ১০ মে বুধবার শিবগঞ্জ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামী মধুমতি এনজিওর প্রচার সম্পাদক ওয়ালিদকে গ্রেফতার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
এছাড়াও একই দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে মাসুদের মেজো ভাই মধুমতি গ্রুপের পরিচালক ফারুক হোসেন। পরে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে অস্ত্র সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে আছেন ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী মধুমতি এনজিওর এমডি মাসুদ রানা।