ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:২৭) বৃহস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

ফাঁকা এখন ঢাকা

ঢাকা বিভাগ ২১৯৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock রবিবার ১২:৩৯, ১ মে, ২০২২

ক্রমে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। বন্ধ যাবতীয় অফিস, ভবনে ঝুলছে তালা। যাত্রীর জন্য রাস্তায় নেই লোকাল বাসের প্রতিযোগিতা কিংবা কনডাক্টরদের হাঁকডাক। হঠাৎ মনে হবে যেন এতগুলো মানুষ শূন্যে মিলিয়ে গেলো নাকি!

গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা রমজান আলী জানিয়েছেন, সারা বছরই তো মানুষের জ্যাম আর যানজট দেখছি। বছরের দুই ঈদে রাজধানীটাকে ফাঁকা পাই। তখন ঢাকাকে নিজের শহর মনে হয়।

সামনের ক’টা দিন আর চিরচেনা যানজটে আটকে থাকতে হবে না নগরবাসীকে। হকারবিহীন শূন্য রাস্তাগুলো দেখে মনে হবে যেন আগের চেয়ে চওড়া হয়েছে। ফুটপাতে হাঁটা যাবে প্রাণ খুলে। বাতাসেও কমে আসবে দূষিত কণা। বরাবরের মতো এবারও ঈদ যেন অন্য এক স্বস্তি নিয়ে এলো রাজধানীর বাসিন্দাদের জন্য।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) শেষ কর্মদিবসের বিকাল থেকে রাজধানী ছাড়া মানুষের মিছিল এখনও চলছে। কারও গন্তব্য গাবতলী, কারও মহাখালী। কেউ সদরঘাট যেতে চেপেছেন রিকশায়। কারও গন্তব্য মাওয়া কিংবা পাটুরিয়া ফেরিঘাট। শিকড়ের টানে এ যাত্রা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।

সামনে লম্বা ছুটি। তাই ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে যাদের উসখুস ছিল, তারাও ছেড়েছেন ধুলো-যানজটের এ নগরী। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কয়েকটি পয়েন্ট ছাড়া তাই চিরচেনা যানজট চোখেই পড়বে না। তখন অনেকেই অবাক হয়ে বলতে পারেন—এত দ্রুত মতিঝিল থেকে মিরপুর চলে এলাম!

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা নাফিসা নাজনীন জানালেন, এবার ঢাকা একটু লম্বা সময় ফাঁকা পাবো। ঈদের পর দিন থেকে তাই একটু নিজের শহরেই ঘোরাফিরা করার ইচ্ছে আছে। বিশেষ করে কর্মব্যস্ত দিনে তো পুরান ঢাকায় যাওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না। সেখানেও এবার ঘুরতে যাওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলে ঈদ হবে ৩ মে মঙ্গলবার। সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবীরা ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে বুধবার পর্যন্ত টানা ৬ দিনের ছুটি পেয়েছেন।

ঈদের আগের দুদিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার। পরদিনই মে দিবসের ছুটি। আগামী ৫ মে বৃহস্পতিবার অফিস খোলার কথা রয়েছে। তবে অনেকে ওই একদিনের ছুটি নিয়ে মোট ৯ দিন বানিয়েছেন। তাই ৮ মে’র আগে আর আগের রূপে ফিরছে না ঢাকা।

‘ঢাকা ফাঁকা না হলে এ নগরীর আবেদনটা আসলে বোঝা যায় না। গোটা দেশজুড়ে যদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে শিল্পায়ন নগরায়ন হতো, তবে এতগুলো মানুষের বাড়ি যাওয়া ও ঢাকায় ফেরা নিয়ে ভোগান্তি হতো না। শহরের বাসিন্দারাও একটু দম ফেলতে পারতো। আমার মনে হয় ঢাকাকে নতুন করে সাজানোর সময় ফুরিয়ে যায়নি।’ বললেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিরপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুক।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT