টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সাত্তার মোল্লা
তারিক আল মুরশিদ, গাজীপুর প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ০৯:৫৮, ২৭ অক্টোবর, ২০২২
গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে চারপাশে নানা জল্পনা,কল্পনায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন মহানগর, থানা, ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ব্লক ও ইউনিট পর্যায়ের পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য ইউনিট গুলোর মতো টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ লাভে ব্যাস্ত অনেক নেতাকর্মী। তবে সাধারণ জনগনের প্রত্যাশা অভিজ্ঞ ও দলের দু-সময়ে রাজপথের লড়াই সংগ্রামে যারা নিবেদিত ছিলো এমন নেতারা নেতৃত্বে থাকলে সুন্দর ভাবে পরিচালিত হবে আওয়ামীলীগ। স্থানীয়দের মতে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে আলহাজ্ব এম,এ সাত্তার মোল্লা অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে অনেক বেশী এগিয়ে আছেন।
এলাকাবাসী ও সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে জানাযায়, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সাত্তার মোল্লা হায়দারাবাদ এলাকায় তার বড় বোন কদ বানুর বাসা থেকে দত্তপাড়ায় নিজ বাড়িতে আসার সময় মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ডেকে সহযোগীতার কথা বললে তিনি তাদের গুলি বোঝাই করা ব্যাগ বহন করেন। তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর সম্রান্ত মোল্লা পরিবারের ছেলে এম এ সাত্তার মোল্লা ছোট বেলায় বাবার মুখে প্রথম বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের নাম শুনেন। তিনি টঙ্গীর নোয়াগাও সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা কালীন সময় বিভিন্ন সময় তার শিক্ষক গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আজমত উল্লা খানের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ঢাকায় যেতেন। সেখান থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি সাত্তার মোল্লার অগাত ভালোবাসা। তৎকালীন ১৯৮৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে আগমন ঘটে সাত্তার মোল্লার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সুন্দর সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করে সাত্তার মোল্লা। তিনি তৎকালীন সময়ে গাজীপুর জেলার ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর পর্যায়ক্রমে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছড়াও বর্তমানে তিনি টঙ্গী থানা যুবলীগের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি, গাজীপুর মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আঞ্জুমানে হেদায়েতুল উম্মত বাংলাদেশ এর মহাসচিব এর দায়িত্বের পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে অত্যান্ত সুন্দর ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আঞ্জুমানে হেদায়েতুল উম্মত বাংলাদেশ সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ৫০০০ এর অধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে ইসলাম গ্রহনের মাধ্যমে মুসলমান করান। এদের মধ্যে ৬০জনকে তিনি একসাথে কালিমা পরিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করান। সাত্তার মোল্লা টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হলে যেমনি আওয়ামীলীগে একজন যোগ্য নেতা পাবে তেমনি জনগন পাবে সার্বিক সহযোগিতা। সাত্তার মোল্লার সাধারণ মনুষ্যকে সহযোগীতা করে সাত্তার মোল্লা কখনো বিনিময় চান নাই। তাই আমরা যোগ্য নেতা সাত্তার মোল্লাকে টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই।
এবিষয়ে সাত্তার মোল্লা জানান, ছোটবেলায় বাবার মুখ থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর কথা ও তার নাম শুনার পর উনার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জন্ম নেয়। এরপর ছাত্রজীবনে আমার প্রিয় স্যার শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টাররের সাথে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে অংশগ্রহন করি। তিনি ছিলেন সৎ ও আদর্শবান একজন নেতা। স্যারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি যা রাজনৈতিক অঙ্গনে পথ চলতে সহায়ক হয়েছে। আহসান উল্লাহ স্যার ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড আজমত উল্লাহ খান সব সময় অভিবাবক হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আমাকে ছায়া হয়ে সাহস দিয়েছে। তাদের আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামী পরিবারকে ভালোবেসে দলের সুদিন ও দুর্দিনে লড়াই সংগ্রাম করেছি। বর্তমানে শহীদ আহসান উল্লাহ স্যারের সুযোগ্য সন্তান আমাদের গাজীপুরবাসীর অহংকার আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রানালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অত্যান্ত সৎ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অত্যান্ত আস্থা ভাজন। বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় ঘরছারা থেকে জেল খেটেছি। যতদিন বেচে আছি সাধারণ মানুষের সেবা করে যেতে চাই। মানুষের সেবার বিনিময়ে কখনো কিছু চাই নি আগামী দিনের জন্যেও চাই না। দল যদি যোগ্য মনে করে কোন দায়িত্ব দেয় আমি দলের দেওয়া সকল নিয়ম মেনে চলবো এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।